জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শহীদ শেখ রাসেলের ৫৯তম জন্ম-দিন উপলক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে বাংলাদেশ দূতাবাসে মঙ্গলবার যথাযোগ্য মর্যাদায় ‘শেখ রাসেল দিবস’ পালিত হয়েছে।
শেখ রাসেলের স্মরণে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যদিয়ে এ দিবসটি পালন করা হয়। এ উপলক্ষে মঙ্গলবার বিকেলে দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে শহীদ শেখ রাসেলের জীবনী’র ওপর এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়াও কর্মসূচির মধ্যে ছিল শেখ রাসেলের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেয়া বাণী পাঠ এবং শিশু-কিশোরদের জন্য চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা।
বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ পুত্র ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছোট ভাই শেখ রাসেল ১৯৬৪ সালের ১৮ অক্টোবর রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বর রোডের ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু ভবনে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালরাতে ঘাতকেরা বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের অধিকাংশ সদস্যকে নির্মমভাবে হত্যা করে। সে-সময়ে ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র শিশু শেখ রাসেলকেও ঘাতকরা রেহাই দেয়নি। তাকেও নির্মমভাবে হত্যা করে।
ওয়াশিংটনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান এবং দূতাবাসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা শহীদ শেখ রাসেলের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে তার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদনের মধ্যদিয়ে এ দিবসের কর্মসূচি শুরু করেন।
পরে, দুতাবাসের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে আলোচনা অনুষ্ঠানের আগে এ উপলক্ষে প্রদত্ত রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করে শোনান যথাক্রমে ডিফেন্স অ্যাটাচে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. শাহেদুল ইসলাম এবং মিনিস্টার (প্রেস) এজেডএম সাজ্জাদ হোসেন। আজ বুধবার ঢাকায় প্রাপ্ত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা জানানো হয়েছে।
এতে উল্লেখ করা হয়, রাষ্ট্রদূত ইমরান শহীদ তার বক্তৃতায় শেখ রাসেলের মাত্র ১০ বছরের জীবনের বিভিন্ন মানবিক গুণাবলী তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ছোট শেখ রাসেল অত্যন্ত আন্তরিকতার সাথে মানুষকে সাহায্য করতেন ও সাধারণ মানুষের জন্য তার হৃদয়ে ছিল অগাধ ভালোবাসা।
রাষ্ট্রদূত ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের হত্যাযজ্ঞে নির্মমভাবে নিহত জাতির পিতা এবং তাঁর পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তিনি নতুন প্রজন্মকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে নিজেদেরকে জাতির সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে এবং উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ প্রতষ্ঠায় কাজ করার আহ্বান জানান।
উল্লেখ্য, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শেষ হয়।
এর আগে, শহীদ শেখ রাসেলের জীবনের ওপর নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন ও কেক কাটা হয়। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালরাতে শহীদ শেখ রাসেল ও অন্যান্য শহীদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন কনস্যুলার (পলিটিক্যাল-১) মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান। মিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ছাড়াও তাদের পরিবারের সদস্যরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।বাসস