৯৬ বছরের জীবনে ৭০ বছরই সিংহাসনে থেকেছেন দ্বিতীয় রানি এলিজাবেথ। বহু কিছুর সাক্ষী তিনি। মালিক হয়েছেন অনেক অর্থকড়িরও। তবে উত্তরাধিকারী রাজা চার্লসের জন্য কী পরিমাণ সম্পদ রেখে গেছেন এই রানি, এ প্রশ্ন এখন অনেকের মনেই।
সবমিলিয়ে ৫০০ মিলিয়ন ডলারের ওপর সম্পদের মালিক ছিলেন রানি এলিজাবেথ। এসবের মালিকানা পেয়েছেন চার্লস। রাজা চাইলে সেগুলো খরচ করতে পারেন, আবার এর সঙ্গে আরও সম্পদ যোগ করে বাড়াতে পারেন তার পরিমাণও।
সংবাদমাধ্যম ফরচুন বলছে, রানির সম্পদের মালিকানা নিয়ে সহজ হিসাবের ব্যাপারটি মোটেও সহজ নয়।
সার্বভৌম অনুদান নামে পরিচিত করদাতা তহবিলের মাধ্যমে আয়ের একটি বড় অংশ এসেছে রানির। ব্রিটিশ রাজপরিবারকে এর মাধ্যমে বার্ষিক অর্থ দেয়া হয়ে থাকে। রাজা তৃতীয় জর্জের করা একটি চুক্তির মাধ্যমে এই তহবিল গঠন করা হয়।
পূর্বপুরুষদের তৈরি সাম্রাজ্যকে আগলে রেখেছিলেন রানি এলিজাবেথ। রাজতন্ত্রের অবসানের পরও রাজপরিবারের গুরুত্ব কমতে দেননি বিন্দুমাত্র। পুরো ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের মূল্য কমপক্ষে ৮৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
এলিজাবেথের মা মারা যাওয়ার পর ৮৫ মিলিয়ন ডলার পেয়েছিলেন তিনি। প্রিন্স ফিলিপের মৃত্যুর পরও নাকি পেয়েছিলেন ১২ মিলিয়ন ডলার। এ ছাড়াও ক্রাউন এস্টেটের লভ্যাংশ থেকে ১৫ শতাংশ পেতেন এলিজাবেথ। ওই এস্টেটের মূল্য প্রায় ১০ বিলিয়ন ডলার।
মধ্যযুগ থেকে ল্যানচেস্টার এস্টেট রাজপরিবারের দখলে। ৩১৫টি বসতবাড়ি, বাণিজ্যিক সম্পদ এবং কৃষিজমি নিয়ে তৈরি এই এস্টেট থেকে কমপক্ষে ২০ মিলিয়ন করে আয় হয় বাকিংহাম প্যালেসের। এই টাকা ব্যবহার করেই নাকি বাকি সম্পত্তির যত্ন নিতেন রানি।
এ ছাড়াও বেশ কিছু ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করেছেন রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ। বহু দামের আর্ট কালেকশন, গয়না রয়েছে তার। রিয়েল এস্টেটে বিনিয়োগ করেছেন। যার মধ্যে বালমোরাল এবং স্যান্ডরিংহাম প্যালেস রয়েছে। এই সবকিছুই এখন পাবেন পাবেন রাজা চার্লস।