Friday , 26 April 2024
শিরোনাম

কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেনকে ‘ধ্বনি’ কর্তৃক গুণীজন সম্মাননা

জাবি প্রতিনিধি-আসিবুল ইসলাম রিফাত

প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক ও বাংলা একাডেমি সভাপতি সেলিনা হোসেনকে গুণীজন সম্মাননা দিয়েছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) আবৃত্তি ভিত্তিক সংগঠন ধ্বনি।

আজ বৃহস্পতিবার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুর আড়াই টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ও মানবিকী অনুষদের সেমিনার কক্ষে ধ্বনি’র ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে আয়োজিত রজতজয়ন্তী আবৃত্তি উৎসবে এ সম্মাননা দেয়া হয়৷

সম্মাননা অনুষ্ঠানে ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক আহমেদ রেজা বলেন, ‘সেলিনা হোসেন তার লেখনীর মাধ্যমে দেশে-বিদেশে সমানভাবে জনপ্রিয়৷ তার খ্যাতি শুধুমাত্র একজন ঔপন্যাসিক হিসেবে নয়৷ তিনি একজন লড়াকু মানুষ৷ সমাজের নানা সংকটে তিনি লেখনীর পাশাপাশি সশরীরেও এসে উপস্থিত হয়েছেন। তার কথা ও লেখনীতে তরুণরা অনুপ্রাণিত হয়েছেন, দীক্ষিত হয়েছেন।’

দর্শন বিভাগের অধ্যাপক ও লেখক রায়হান রাইন বলেন, ‘সেলিনা হোসেন এমন একজন মানুষ যার কর্মকে অল্প কথায় তুলে আনা যায় না। আমাদের বেড়ে উঠার সাথে তার উপন্যাস জড়িত। তার নীল ময়ুরের যৌবন পড়ে আমরা পড়তে শিখেছি। তার ছোটগল্প পড়েই লিখতে শিখেছি৷ তাকে গুণীজন সম্মাননা দেয়া আমাদের জন্য খুবই আনন্দের একটা উপলক্ষ্য।’

সম্মাননা পেয়ে কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন বলেন, ‘আমার শৈশব কৈশোর কেটেছে বগুড়ার করতোয়া নদীর তীরে। সেখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আমাকে শিখিয়েছে কিভাবে দেশের মানুষকে ভালবাসতে হয়। সেখানকার পরিবেশ আমাকে মানবিক দর্শনের জায়গাটা বুঝতে শিখিয়েছে। আমি ছোট-বড় মিলিয়ে ১২৫ টি বই লিখেছি। আমার লেখাগুলো দেশে ও পশ্চিমবঙ্গে অন্তত ১১ টা বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠ্যতালিকায় অন্তর্ভূক্ত হয়েছে। দেশে আমার রচনার উপর ১৩টি পিএইচডি হয়েছে। আমার লেখাগুলো তরুণদের কাছে যাচ্ছে। এক জীবনে এটাই সবচেয়ে বড় পাওয়া।’

তিনি আরও বলেন, ‘শুধু বই পড়ে নয়, মানবিক দর্শন থেকে শিক্ষাকে প্রসারিত করতে হবে। প্রতিটি মানুষের প্রজ্ঞার জায়গা থাকা উচিত৷ সমাজের সবার জন্য একটা দৃষ্টান্ত তৈরি করতে হবে। তাহলেই সামাজিক মূল্যবোধ ঠিক থাকবে৷ নইলে সুন্দর সমাজটা ঘৃণার জায়গায় পরিণত হবে।’

এসময় আরো বক্তব্য রাখেন দর্শন বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. আনওয়ারুল্লাহ ভূঁইয়া৷ উপস্থিত ছিলেন ধ্বনি’র আবৃত্তি শিল্পী ও বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা৷

এর আগে, ‘প্রশ্ন তুলুক মুক্ত ধ্বনি, ঘুচুক আঁধার কালের ফণী’ স্লোগানকে ধারণ করে শনিবার (৩ সেপ্টেম্বর) বর্ণাঢ্য র‍্যালীর মাধ্যমে সপ্তাহব্যাপী আবৃত্তি উৎসব শুরু হয়৷ উৎসব শেষে বিজয়ীদের অভিজ্ঞতা সনদ প্রদান ও পুরস্কার বিতরণ করা হবে। শুক্রবার(৯ সেপ্টেম্বর) ধ্বনির প্রাক্তন সদস্যদের পুনর্মিলনীর মধ্য দিয়ে পর্দা নামবে উৎসবের৷

Check Also

থাইল্যান্ডের রাজা-রানীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত শেখ হাসিনার

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা থাইল্যান্ডের রাজা মহা ভাজিরালংকর্ন ফ্রা ভাজিরা-ক্লাওচা-উয়ুয়া এবং রানী সুথিদা বজ্রসুধা-বিমলা-লক্ষণের সঙ্গে সৌজন্য …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

x