নিজেদের ফুটবল ক্লাব বসুন্ধরা কিংসের জন্য কেবল একটি মাঠই তৈরি করেনি বসুন্ধরা গ্রুপ; দেশের অন্যতম এই ব্যাবসায়িক প্রতিষ্ঠানটি তৈরি করছে একটা আধুনকি ক্রীড়া কমপ্লেক্সও। অর্ধেক কাজও হয়নি, অথচ এখনই যে কাউকে মুগ্ধ করবে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানো এই কমপ্লেক্সটি। বৃহস্পতিবার ফুটবল স্টেডিয়ামটি উদ্বোধনকালে এর কর্ণধার আহমেদ আকবর সোবহান পুরো কমপ্লেক্সের বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন গণমাধ্যমের সাথে।
ক্রীড়া কমপ্লেক্সটির বর্ণনা দিতে গিয়ে বসুন্ধরা কিংসের চেয়ারম্যান বলেছেন, ‘এখানে যে একাডেমি হচ্ছে তার সঙ্গে বিশ্বের অন্যতম বড় ক্লাব ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে সম্পৃক্ত করার চেষ্টা করছি। আশা করি এক থেকে দেড় বছরের ভেতরে পুরো কমপ্লেক্স হয়ে যাবে। আরও অনেক মাঠ দেখতে পারবেন। সবাই খুশী হবেন।’
‘শুধু ফুটবল মাঠ না, ক্রিকেট-হকি-বাস্কেটবল-ভলিবল, এথলেটিক্সরে মাঠও থাকবে। এই একাডেমিতে অন্তত পক্ষে ১০০০ ছেলে থাকতে পারবে, তারা খেলা শিখতে পারবে। মেয়েদের জ আমরা একাডেমির ব্যবস্থা রেখেছি। বাংলাদেশের মেয়েরা খেলাধুলায় গর্ব। তারা অনেক এগিয়ে যাচ্ছে। ফুটবল, ক্রিকেটসহ সব খেলায়।’
তিনি আশা করছেন ফুটবলের হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্য ফিরবে। ‘এক সময় আবাহনী-মোহামেডানের যখন খেলা হতো তখন সকাল ৯ টায় লাইনে দাড়াইয়া টিকেট কিনতাম। ওই ক্রেজটা আবার আসুক ফুটবলে। ইন্টার স্কুল ফুটবল ইত্যাদি ফুটবল এগিয়ে নিক। ফুটবল আগাতে অনেক সময় লাগবে। আমরা যে স্ট্যান্ডার্ড আছি এখান থেকে মেয়েদের একটা বিশাল ফিউচার আছে। আমরা যদি স্কুল লেভেল থেকে ট্রেনিং না করি তাহলে এখনকার যে অবস্থা তা থেকে ভালো অবস্থানে যাওয়া যাবে না। আমি নিশ্চিত, আবাহনী কাজ শুরু করেছে, মোহামেডানও করবে। পুলিশেরও নিজেদের অনেক মাঠ আছে। তারাও করবে। একজন শুরু করলে দশজন এগিয়ে আসে।’
কমপ্লেক্সটি তৈরি করতে এক-দেড় বছর সময় লাগবে উল্লেখ করে আহমেদ আকবর সোবহান বলেছেন, ‘আমরা আশা করি আগামী এক থেকে দেড় বছরের ভেতরে পুরো কমপ্লেক্স হয়ে যাবে। আরও অনেক মাঠ আপনারা দেখতে পারবেন। অবশ্যই সবাই খুশী হবেন। শুধু ফুটবল মাঠ না, ফুটবল-ক্রিকেট-হকি-বাস্কেটবল-ভলিবল, এথলেটিক্স মাঠও থাকবে এখানে।’
বাংলাদেশের মেয়েরা খেলাধুলায় এগিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান বলেছেন, ‘খেলাধুলায় মেয়েরা অনেক এগিয়ে যাচ্ছে। ফুটবল, ক্রিকেটসহ সব খেলায়। আমি সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই। সাংবাদিকসহ যারা এখানে আসছেন এবং যারা এই কমপ্লেক্স করার ব্যাপারে উৎসাহ দিচ্ছেন তাদের সবার কাছে আমি কৃতজ্ঞ। আপনাদের সহযোগিতা আমাদের অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যাবে। ইনশাল্লাহ! আমি আজকে এই শুভক্ষনে বসুন্ধরা কিংসের এই ফুটবল মাঠ উদ্বোধন করছি।’
এ কমপ্লেক্স করে বসুন্ধরা গ্রুপ কোনভাবে লাভবান হবে কিনা প্রশ্ন করা হলে আহমেদ আকবর সোবহান বলেন, ‘সবকিছু তো আর বেনিফিট চিন্তা করে বলা যায় না। এটাকে সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে বলেন কিংবা ব্রান্ডিং বলতে পারেন। কমপ্লেক্স হওয়ার পর থেকে বসুন্ধরার আশেপাশে জমির দাম দ্বিগুনেরও বেশি হয়ে গেছে। ব্যবসার চিন্তা করলে এটা কেউ করবে না। এটা করতে হবে দেশের স্বার্থ, দেশের সমৃদ্ধির কথা ভেবে।’