স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে দেশে কম দামে নিরবচ্ছিন্ন ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথ সরবরাহ নিশ্চিতে বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানিকে নির্দেশনা দিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ২০০৭ সালে প্রতি এমবিপিএস ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথের দাম ছিল ৮৫ হাজার টাকা। জনগণকে সাশ্রয়ী দামে ইন্টারনেট দিতে বর্তমানে তা মাত্র ৬০ টাকায় নামিয়ে এনেছি। মানুষের স্মার্ট জীবনধারা নিশ্চিত করতে প্রতিটি অঞ্চলে নেটওয়ার্ক সুবিধা পৌঁছে দিতে সরকার বদ্ধপরিকর।
শনিবার (২৩ মার্চ) কুয়াকাটায় সাবমেরিন ক্যাবল ল্যান্ডিং স্টেশন পরিদর্শনকালে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের এ নির্দেশনা দেন তিনি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সাবমেরিন ক্যাবল স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নের জন্য দেশের অত্যন্ত অপরিহার্য টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি অবকাঠামো। স্মার্ট যুক্তির চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানিকে একটি সময়োপযোগী দক্ষ প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলার বিকল্প নেই।
তিনি আরও বলেন, বিনা মাসুলে ১৯৯২ সালে বাংলাদেশে সাবমেরিন ক্যাবল সংযোগের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে তৎকালীন সরকার বাংলাদেশকে তথ্যপ্রযুক্তি দুনিয়া থেকে পিছিয়ে রাখে। ১৯৯৬-২০০১ সাল এবং পরবর্তীত ২০০৮ সালে শেখ হাসিনার ঘোষিত ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচির হাত ধরে বাংলাদেশকে সেই পশ্চাৎপদতাকে কেবল অতিক্রমই করেনি বরং হাওর, দ্বীপ, চরাঞ্চল ও দুর্গম পার্বত্য অঞ্চলসহ দেশের প্রতিটি ইউনিয়নে উচ্চগতির ব্রডব্যান্ড সংযোগ পৌঁছে দেয়া হয়েছে।
পলক বলেন, দেশে ২০০৮ সালে মাত্র সাড়ে সাত জিবিপিএস ইন্টারনেট ব্যবহৃত হতো এবং ব্যবহারকারী ছিল মাত্র ৭ লাখ। বর্তমানে দেশে ১৩ কোটি ১০ লাখ মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করে এবং পাঁচ হাজার জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ ব্যবহৃত হচ্ছে। বাংলাদেশের জন্য তৃতীয় সাবমেরিন ক্যাবল সংযুক্তি ডিজিটাল প্রযুক্তি দুনিয়ায় বাংলাদেশের আরও একটি ঐতিহাসিক অর্জন বলে উল্লেখ করেন।
বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মির্জা কামাল ও স্থানীয় কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। পরে প্রতিমন্ত্রী কুয়াকাটা টেলিফোন এক্সচেঞ্জ পরিদর্শন করেন। তিনি কুয়াকাটা সাব-পোস্ট অফিস ভবনের চলমান উন্নয়ন কাজ ঘুরে দেখেন।