করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতির আবারও অবনতি হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
তিনি বলেন, বর্তমানে সংক্রমণ নেই বললেই চলে কিন্তু বিশ্ব পরিস্থিতি যেদিকে যাচ্ছে তাতে সংক্রমণ আবারও বাড়ার সম্ভাবনা আছে। কারণ ভারতে সংক্রমণ বাড়ছে, সেখানে অনেকেই যাতায়াত করছেন। তাদের নজরে রাখতে হবে।
রবিবার দুপুরে রাজধানীর মহাখালীতে জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠানে (নিপসম) জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের প্রায় ১৩ কোটি মানুষ এখন টিকার আওতায়। যা বিশ্বের অনেক উন্নত দেশও দিতে পারেনি। এখনো যারা টিকা নেয়নি, তারা ইচ্ছাকৃতভাবেই নিচ্ছেন না।
তিনি বলেন, দেশকে এগিয়ে যেতে হলে মানুষকে সুস্থ থাকতে হবে। এ জন্য পুষ্টি অপরিহার্য। আমাদের দেশে পুষ্টি সেবার অনেক উন্নতি হয়েছে। প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিয়েছে সরকার। সেখানে চিকিৎসার পাশাপাশি পুষ্টি নিয়ে সচেতন করা হয়।
আমরা কী খাচ্ছি সেটা দেখতে হবে। সংক্রামণ ব্যাধি যক্ষা, পোলিও, ম্যালেরিয়া, এইডস নিয়ন্ত্রণ রয়েছে। অন্যদিকে অসংক্রামক রোগ যেগুলো মানুষের খাদ্যাভ্যাস ও জীবনাচারের সঙ্গে সম্পৃক্ত সেগুলো বাড়ছে। আমাদের পরিমিত খেতে হবে। পুরো দেশে যখন করোনা ছড়িয়ে পড়ে, তখন ভিটামিন সি, ডি ও জিংক খেতে বলি। এতে করে প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে, বলেন তিনি।
জাহিদ মালেক আরও বলেন, ক্যালরিতে ভারত-পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে আমরা। এখনো ১০-১৫ শতাংশ মানুষ দারিদ্র্য সীমার নিচে বসবাস করে কিন্তু কেউ না খেয়ে থাকে না। খাদ্যের অভাব যাতে না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। দেশের মানুষের খর্বাকৃতি আগে যেখানে ৫০ শতাংশ ছিল, সেটি এখন ৩০-এ নেমেছে। স্কুল ফিডিং জোরদারের চেষ্টা করছে সরকার। ছেলে-মেয়েদের পুষ্টি সম্পর্কে সচেতন করতে হবে। ফার্স্টফুড খাবার থেকে বিরত রাখার চেষ্টা করতে হবে।