আবুল কালাম আজাদ (রাজশাহী):-প্রতিটা কন্ট্রোল অফিসে ট্রেন কন্ট্রোল তথা ক্রসিং – প্রিসিডেন্স প্রোগ্রাম করার জন্য কন্ট্রোল চার্টে প্লটিং করা হয়। কন্ট্রোল চার্ট হচ্ছে বড় এক গ্রাফ পেপার যার মধ্যে হরাইজন্টাল রেখা গুলো দ্বারা সময় ও ভার্টিক্যাল রেখা দ্বারা দূরত্ব হিসেব করা হয়। উলম্ব রেখা গুলোতে স্টেশনের নাম ও দুটো স্টেশনের মধ্যবর্তী দূরত্ব লেখা থাকে আর হরাইজন্টাল রেখার পাশে সময় ঘন্টা লেখা থাকে। কন্ট্রোল চার্টের প্রতিটা ঘর ৫ মিনিট বা ১০ মিনিট ধরে হিসেব করতে হয়। কন্ট্রোলার ট্রেনের গতি দেখে আগাম পাথ করে রাখেন এবং সম্ভাব্য ক্রসিং পরিকল্পনা করেন।
স্টেশন মাষ্টারগণ তাদের স্টেশন কোন ট্রেন পার হলে তা কন্ট্রোল কে জানান যা কন্ট্রোলার চার্টে বিন্দু আকারে বসান সে অনুযায়ী পরবর্তী মুভমেন্ট দেন।
এক একজন কন্ট্রোলার বিশাল এলাকার ট্রেনের মুভমেন্ট দিতে হয় যেমনঃ পাকশী কন্টোলের চার নং বোর্ডে, জয়দেবপুর হতে রহনপুর, ও মাঝগ্রাম থেকে ঢালারচল, তিন নং বোর্ডে খুলনা হতে ইশ্বরদী, ২ নং বোর্ডে পোড়াদহ থেকে গোয়ালন্দ, পাচুরিয়া – ভাঙ্গা, কালুখালী ভাটিয়া পাড়া ঘাট, ও এক নং বোর্ডে আব্দুল হতে চিলাহাটি ট্রেন নিয়ন্ত্রন করা হয়। প্রতিটা স্টেশনের ট্রেনের ইন আউট, মেসেজ গ্রহণ প্রেরণ, ক্রসিং মুভমেন্ট দেয়া, ট্রেন কল, ডিটেনশন নেয়া, ট্রেনের তথ্য পার্চিকুলার সংগ্রহ সহ বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ, চার্ট প্লটিং করা ইত্যাদি নানা কাজে চরম ব্যস্ত থাকতে হয়। যা বাইরে থেকে বোঝা যায়না। একটা কথা বলতে পারি কোন ট্রেন কন্ট্রোলার কখনো জেনে বুঝে কোন ট্রেনকে বসিয়ে রাখেনা। অনেক সময কোন অনাকাংখিত পরিস্থিতির কারনে কোন ট্রেন বেশী বিলম্ব হতে পারে যার কারন তাকে লিপিবদ্ধ করে রাখতে হয় এবং তাকে জবাবদিহি করতে হয়।
কোন ট্রেনের যাত্রা শেষ হবার পর সে ট্রেনের গার্ড তার ট্রেনের ডিটেনশন কন্ট্রোলারকে জানান। এই ডিটেনশন বা বিলম্বতার কারন জোনাল কন্ট্রোল ও ঢাকা রেলভবনের আন্তঃনগর সেল বিশ্লেষন করেন। যদি কোন হিসেবের কোন ব্যত্যয় ঘটে তবে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেযা হয়।
ভারতীয় রেলওয়ে ডিজিটাল কন্ট্রোল চার্ট চালু করেছে। তারা প্রতিটা ট্রেনে জিপিএস সেট আপ করেছে ফলে ক্রসিং মুভমেন্ট আরো নিখুত হচ্ছে।
বাংলাদেশ রেলওয়ে কন্ট্রোল চার্ট ডিজিটাল করার পরিকল্পনা রয়েছে যা চালু হলে আরো গতিশীল হবে রেল পরিচালনা।