কাতারের রাজধানীর দোহার অভিজাত শেরাটন হোটেলের আল মজলিস হলে বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনী দিবস উদযাপন উপলক্ষে বাংলাদেশ দূতাবাস, দোহা কাতারের প্রতিরক্ষা শাখার উদ্যোগে কাতারের কূটনৈতিক ও সামরিক উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সম্মানে এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
|| ই এম আকাশ : কাতার প্রতিনিধি ||
১৮ জানুয়ারি ২০২৪ তারিখে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী দিবস উদ্যাপন উপলক্ষে বাংলাদেশ দূতাবাস,
দোহা, কাতারের প্রতিরক্ষা শাখার উদ্যোগে কাতারে নিয়োজিত বিভিন্ন দেশের কূটনৈতিক ও সামরিক
ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সম্মানে দোহাস্থ শেরাটন গ্র্যান্ড দোহা রিসোর্ট এর বলরুমে এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের
আয়োজন করা হয়।
উক্ত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কাতার সশস্ত্র বাহিনীর
মেজর জেনারেল ফায়েজ ফালেহ আল শাম্মারী। এছাড়াও কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়,স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং কাতার সশস্ত্র বাহিনী উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দও উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
কাতারে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক, প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা/এ্যাটাশে ও তাদের পরিবারবর্গ, কাতার প্রবাসী বীর মুক্তিযোদ্ধা, কাতারস্থ বাংলাদেশী ব্যবসায়ীগণ, গণমাধ্যমকর্মী, কাতারে অবস্থানরত বাংলাদেশ সশস্ত্র
বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সদস্যবৃন্দ এবং বাংলাদেশ কমিউনিটির সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। পবিত্র কুরআন তিলাওয়াতের মাধ্যমে সূচিত অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল
এম খায়ের উদ্দীন, এসজিপি, এনডিসি, এএফডব্লিউসি, পিএসসি। তিনি তার বক্তব্যে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী প্রতিষ্ঠার গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস এবং জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী মিশনসহ দেশে বিদেশে বাংলাদেশের
সশস্ত্র বাহিনীর কার্যক্রমের সংক্ষিপ্ত বিবরণ উপস্থাপনের পাশাপাশি কাতার ও বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর
ভ্রাতৃত্বপূর্ণ সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি, উপ-প্রধানমন্ত্রী
ও প্রতিরক্ষা প্রতিমন্ত্রী ড. খালিদ বিন মোহাম্মদ আল-আত্তিয়া এবং কাতার সশস্ত্র বাহিনীর চিফ অফ স্টাফ লেফটেন্যান্ট জেনারেল (পাইলট) সালেম হামাদ আল-আকিল আল-নাবিতের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।
উল্লেখ্য প্রতিবছর ২১শে নভেম্বর বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী দিবস পালিত হয়। তবে গাজায় ইসরায়েলী আগ্রাসনের কারনে নির্ধারিত সময়ে সশস্ত্র বাহিনী দিবসটি আয়োজন করা সম্ভব হয়নি।
কাতারে নিযুক্ত বাংলাদেশের মান্যবর রাষ্ট্রদূত মোঃ নজরুল
ইসলাম তার বক্তব্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদান স্মরণ করেন ও বাংলাদেশের গৌরবময়
ইতিহাস ও উন্নয়নের বিবরণ তুলে ধরেন। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে প্রতিরক্ষা খাতে বাংলাদেশের অগ্রগতির ভূয়সী প্রশংসা করেন। পরবর্তীতে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী উন্নয়ন অগ্রগতি ও স্বাধীনতা যুদ্ধে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর অবদানের উপর নির্মিত একটি ভিডিও চিত্র প্রদর্শন করা করা হয়।