নাচ-গানের সাথে কাতারের ঐতিহ্য, সংস্কৃতির মাধ্যমে মরুর বুকে পর্দা উঠল ফুটবল বিশ্বকাপের ২২তম আসরের। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মঞ্চে মঞ্চে দেখা গেল ঘানিম আল মুফতাহকে। দু’হাতে ভর দিয়ে মঞ্চে এসে প্রবীণ মার্কিন অভিনেতা মর্গ্যান ফ্রিম্যান সঙ্গে সঞ্চালনা করলেন বেশ কিছু ক্ষণ। ঘানেম কাতার বিশ্বকাপের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডার। তিনি কোরানের শ্লোকে গাইলেন।
ঘানিম আল মুফতাহার জন্ম থেকেই পা নেই। তার বয়স ২০ বছর। কডাল রিগ্রেশন সিন্ড্রোমে ভোগেন তিনি। খুব কম মানুষেরই এই রোগ দেখা যায়। কিন্তু সেই সব বাধা টপকে একাধিক মানুষের অনুপ্রেরণা হয়ে উঠেছেন ঘানেম। তার ইউটিউব চ্যানেল রয়েছে। সেখানে তিনি মানুষকে অনুপ্রেরণা দিতে বিভিন্ন কথা বলেন। তার আইসক্রিমের ব্যবসাও রয়েছে।
মার্কিন অভিনেতা মর্গ্যান ফ্রিম্যানের সঙ্গে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান মাতালেন ঘানিম। তার শ্লোক শোনালেন উপস্থিত দর্শকদের এবং সারা বিশ্বের ফুটবলপ্রেমীদের। কাতারের বিভিন্ন দিক তুলে ধরা হল সেই অনুষ্ঠানে।
প্রথমেই দেখা যায় কাতারের শাসক শেখ মোহাম্মাদ বিন রশিদ আল-মাখতুমকে। প্রথমে গানের অনুষ্ঠান হয়। তার পরেই বিশ্বকাপে ঐক্যের বার্তা শোনাতে শোনাতে হাজির হন হলিউড অভিনেতা মর্গ্যান ফ্রিম্যান। তার সঙ্গে মঞ্চে আসেন ঘানেম।
গাইলেন কোরিয়ান ব্যান্ড ব্যান্ড বিটিএস-এর গায়ক জং কুক। তার সঙ্গেই এলেন কাতারের গায়ক ফাহাদ আল-কুবায়সি। এর আগের বিশ্বকাপে যে যে গানগুলি গাওয়া হয়েছিল, সেগুলি ফিরে এল। ১৯৯৮ বিশ্বকাপে রিকি মার্টিনের গাওয়া ‘ওলে, ওলে’ থেকে ২০১০ বিশ্বকাপে শাকিরার গাওয়া ‘ওয়াকা, ওয়াকা’, সবই শোনা গেল। আগের বারের বিশ্বকাপে যে সব ম্যাসকট ছিল, তাদেরও একে একে হাজির করানো হল।
এরপর সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সমাপ্তি টানেন কাতারের এক কর্মকর্তা। পর্দা উঠল কাতার বিশ্বকাপের, এখন ফুটবল মাঠে ৩২ দলের যুদ্ধ।