বাংলা নববর্ষকে স্বাগত জানিয়ে এপ্রিল মাসকে ‘বাংলা হেরিটেজ মাস’ হিসেবে ঘোষণা করেছেন কানাডার রাজধানী অটোয়ার মেয়র। ‘ঐতিহাসিক’ অভিহিত করে এ ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছে অটোয়ার বাংলা ভাষাভাষী কমিউনিটি।
বাংলা নববর্ষের উৎসব বা পহেলা বৈশাখ দক্ষিণ এশিয়ার বাঙালি কমিউনিটির সবচেয়ে বড় উৎসব এবং এই উৎসবটি প্রতিবছর এপ্রিল মাসে উদযাপন করা হয়। এই প্রেক্ষাপটে ২০২২ সালের এপ্রিল মাসকে ‘বাংলা হেরিটেজ মাস’ ঘোষণা হয়।
বৃহস্পতিবার (১৪ এপ্রিল) অটোয়া মেয়রের পক্ষ থেকে বাংলা হেরিটেজ মাস সেলিব্রেশন কমিটির কাছে এ সংক্রান্ত ঘোষণাপত্রটি হস্তান্তর করেন অটোয়া সিটির কাউন্সিলর ও অটোয়া পুলিশ সার্ভিস বোর্ডের চেয়ার এলি এল-চ্যানটিরি।
এ সময় কানাডায় নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার অজয় বিসারিয়া, কানাডার ফেডারেল এমপি চন্দ্রা আরিয়া এবং সেন্টার ফর গ্লোবাল ডেভেলপমেন্ট রি/কনসিলিয়েশনের প্রেসিডেন্ট অমিতাভ সান্যাল, ভাইস-প্রেসিডেন্ট মমতা দত্ত, কোষাধ্যক্ষ রিয়াজ জামানসহ শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
অজয় বিসারিয়া বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যেকার সংস্কৃতিক মেলবন্ধনের চিত্র তুলে ধরেন। চন্দ্রা আরিয়া বাঙালির সমৃদ্ধ ঐতিহ্যের কথা তুলে ধরে বলেন, কানাডিয়ানরা বহুধা সংস্কৃতিকে মূল্যায়ন, ধারণ ও উদযাপন করে থাকে। তাদের মধ্যে এই ঐতিহ্য ছড়িয়ে দিতে হবে।
অটোয়া মেয়রের ঘোষণাপত্রে বলা হয়েছে, দক্ষিণ এশিয়া থেকে আগত বাঙালি কমিউনিটির বড় একটি অংশের বসবাস রয়েছে অটোয়াতে। এখানকার মানুষের মুখের ভাষাগুলোর মধ্যে বাংলা অন্যতম। বিংশ শতাব্দীর শুরুতেই কানাডায় বাঙালি অভিবাসীর আগমন ঘটেছে। এরপর থেকে বাংলা ভাষাভাষীরা বিজ্ঞান, শিক্ষা, চিকিৎসা, আইন, রাজনীতি, মিডিয়া, বাণিজ্য এবং সংস্কৃতিতে তাৎপর্যপূর্ণ অবদান রেখেছেন। তারা অন্টারিও ও কানাডার প্রবৃদ্ধি, উন্নতি ও উদ্ভাবনে সহায়তা করা যাচ্ছেন।
ঘোষণাপত্রে বলা হয়েছে, এপ্রিলকে হেরিটেজ মাস ঘোষণা নিয়ে কানাডার আদিবাসী ক্লিয়ারওয়াটার ডোরিন স্টিভেনস একটি প্রার্থনা সংগীত রচনা করেছেন। সেই সংগীতটিও পরিবেশন করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে সিজিডিআরসি’র পক্ষ থেকে বাঙালির হাজার বছরের ঐতিহ্য তুলে ধরা হয়। বাংলাদেশসহ ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা ও বরাক ভ্যালির বাংলা ভাষাভাষী জনগোষ্ঠীর ইতিহাস ও সংস্কৃতি এবং বাংলা ভাষার জন্য বাংলাদেশের জনগণের বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনের সংগ্রামমুখর ইতিহাসও তুলে ধরা হয়।