ঢাকা , সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
ঢাকা সেনানিবাসের একটি ভবন সাময়িক ‘কারাগার’ ঘোষণা রামগঞ্জে ফিরছে বিএনপির দুঃসময়ের কান্ডারী কবির হোসেন পাটোয়ারী কাপ্তাইয়ে টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন ২০২৫ উদ্বোধন আশুলিয়ায় জামগড়া আর্মি ক্যাম্প সেনাবাহিনীর অভিযানে ইয়াবাসহ দুই মাদক ব্যবসায়ী আটক ঢাকার সাবেক চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রেজাউল করিম সাময়িক বরখাস্ত  তরুণ কৃষি উদ্যোক্তাদের জন্য ‘সোশ্যাল বিজনেস ফান্ড’ গঠনের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার জনগণের সেবায় অগ্রণী ভূমিকায় মোঃ শফিউর রহমান কিরণ – ভোলার এক পরীক্ষিত রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ১৫ সেনা কর্মকর্তা আটক থাকলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আদালতে হাজির করতে হবে: চিফ প্রসিকিউটর রোমে পৌঁছেছেন প্রধান উপদেষ্টা দুর্নীতি ও তথ্য গোপনের অভিযোগে বিমানের উপমহাব্যবস্থাপক মাসুদ খান সাময়িক বরখাস্ত

কাপ্তাইয়ে টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন ২০২৫ উদ্বোধন

মো. জয়নাল আবেদীন, কাপ্তাই (রাঙামাটি) প্রতিনিধি

 

সারাদেশব্যাপী “টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন ২০২৫”-এর অংশ হিসেবে রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলায় আনুষ্ঠানিকভাবে টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়েছে। রবিবার (১২ অক্টোবর) সকাল ৮টায় কাপ্তাইয়ের শিলছড়ি দারুস সুন্নাহ নুরানি মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে এই ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন করেন কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রুহুল আমিন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কাপ্তাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রুই হ্লা অং মারমা, স্বাস্থ্য পরিদর্শক সুনীল কান্তি চাকমা, শহর স্বাস্থ্য পরিদর্শক চন্দ্রা চাকমা, স্বাস্থ্য সহকারী বিজয় চাকমা, পরিবার পরিকল্পনা সহকারী দীপা চৌধুরী, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, গণমান্য ব্যক্তি ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ।

এ ক্যাম্পেইনের আওতায় ৯ মাস থেকে ১৫ বছরের কম বয়সী সকল শিশু এবং প্রাক-প্রাথমিক থেকে নবম শ্রেণি বা সমমান পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে ১ ডোজ টাইফয়েড টিকা প্রদান করা হচ্ছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রুই হ্লা অং মারমা জানান, উদ্বোধনী দিনে কাপ্তাইয়ের চিংম্রং, কাপ্তাই ও ওয়াগ্গা ইউনিয়নে মোট ১,১০৪ জন শিশুকে টাইফয়েড টিকা প্রদানের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছিল। তবে দুর্গম এলাকার কারণে কিছু শিশু উপস্থিত হতে না পারায় ৮৮৭ জন শিশুকে টিকা প্রদান করা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচি (EPI) বাস্তবায়নে সহযোগিতা করছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO), ইউনিসেফ বাংলাদেশ এবং Gavi (The Vaccine Alliance)।

এই টিকাদান কর্মসূচির মূল লক্ষ্য হলো— “সকল শিশুর জন্য নিরাপদ ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করা” এবং টাইফয়েড রোগ প্রতিরোধে দেশের প্রতিটি শিশুকে সুরক্ষার আওতায় আনা।

ট্যাগ :

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপডেটের সময় : ০৯:৫৯:২৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫
৫১১ Time View

কাপ্তাইয়ে টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন ২০২৫ উদ্বোধন

আপডেটের সময় : ০৯:৫৯:২৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫

 

সারাদেশব্যাপী “টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন ২০২৫”-এর অংশ হিসেবে রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলায় আনুষ্ঠানিকভাবে টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়েছে। রবিবার (১২ অক্টোবর) সকাল ৮টায় কাপ্তাইয়ের শিলছড়ি দারুস সুন্নাহ নুরানি মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে এই ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন করেন কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রুহুল আমিন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কাপ্তাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রুই হ্লা অং মারমা, স্বাস্থ্য পরিদর্শক সুনীল কান্তি চাকমা, শহর স্বাস্থ্য পরিদর্শক চন্দ্রা চাকমা, স্বাস্থ্য সহকারী বিজয় চাকমা, পরিবার পরিকল্পনা সহকারী দীপা চৌধুরী, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, গণমান্য ব্যক্তি ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ।

এ ক্যাম্পেইনের আওতায় ৯ মাস থেকে ১৫ বছরের কম বয়সী সকল শিশু এবং প্রাক-প্রাথমিক থেকে নবম শ্রেণি বা সমমান পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে ১ ডোজ টাইফয়েড টিকা প্রদান করা হচ্ছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রুই হ্লা অং মারমা জানান, উদ্বোধনী দিনে কাপ্তাইয়ের চিংম্রং, কাপ্তাই ও ওয়াগ্গা ইউনিয়নে মোট ১,১০৪ জন শিশুকে টাইফয়েড টিকা প্রদানের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছিল। তবে দুর্গম এলাকার কারণে কিছু শিশু উপস্থিত হতে না পারায় ৮৮৭ জন শিশুকে টিকা প্রদান করা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচি (EPI) বাস্তবায়নে সহযোগিতা করছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO), ইউনিসেফ বাংলাদেশ এবং Gavi (The Vaccine Alliance)।

এই টিকাদান কর্মসূচির মূল লক্ষ্য হলো— “সকল শিশুর জন্য নিরাপদ ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করা” এবং টাইফয়েড রোগ প্রতিরোধে দেশের প্রতিটি শিশুকে সুরক্ষার আওতায় আনা।