ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ের বৈসরন উপত্যকায় মঙ্গলবারের সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে। এতে অন্তত ২০ পর্যটক নিহত হয়েছেন। তবে স্থানীয় কয়েকটি সূত্রের মতে, হামলায় অন্তত ২৯ জন নিহত হয়েছেন।
এনডিটিভি জানিয়েছে, হামলায় আহতদের সরিয়ে নেওয়ার জন্য সামরিক হেলিকপ্টার মোতায়েন করা হয়েছে। টেলিফোনে কথোপকথনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে হামলাস্থল পরিদর্শন করতে এবং সকল উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি শিগগিরই সকল সংস্থার সাথে একটি জরুরি নিরাপত্তা পর্যালোচনা বৈঠক করার জন্য শ্রীনগরের উদ্দেশে রওনা হবেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাহালগামের বৈসরান ভ্যালির উপরের মাঠে গুলির শব্দ শোনা গেছে। এলাকাটি শুধুমাত্র পায়ে হেঁটে বা ঘোড়ার পিঠে চড়ে পৌঁছানো যায়। সন্ত্রাসীরা সাধারণ পোশাকে মানুষের সঙ্গে মিশে ছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে এবং এটি একটি টার্গেটেড হামলা বলেই মনে করা হচ্ছে।
হামলার পরপরই দিল্লিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বাসভবনে জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকে গোয়েন্দা ব্যুরোর প্রধান তপন যেকা, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব গোবিন্দ মোহন উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া সিআরপিএফ প্রধান জ্ঞানেন্দ্র প্রতাপ সিংহ, জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের ডিজি নলিন প্রভাত এবং কিছু সেনা কর্মকর্তাও ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠকে যোগ দেন। জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ এবং লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহার সঙ্গেও কথা বলেছেন অমিত শাহ।
লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহা জানান, সন্ত্রাসীদের ধরতে বিরাট সন্ত্রাস-বিরোধী অভিযান শুরু করা হয়েছে। পাহালগামে হামলাকারীদের তাদের জঘন্য কাজের কঠিন মূল্য দিতে হবেবলে তিনি হুঁশিয়ারি দেন।