কিরগিজস্তান-তাজিকিস্তানের সীমান্তে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে প্রায় ২৭ জন নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। একইসাথে আহত হয়েছেন বহু মানুষ
শনিবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি’র এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নভুক্ত দেশ দুটি প্রায়ই সীমান্ত সংঘর্ষে লিপ্ত হয়ে থাকে। গত শতাব্দীর নব্বইয়ের দশকের শুরুতে ইউএসএসআর-এর (সোভিয়েত ইউনিয়নের) পতনের পর থেকে উভয় দেশের মধ্যে সীমানা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে।
দুই দেশ যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হওয়া সত্ত্বেও গত সপ্তাহের শুরুতে নতুন করে সংঘর্ষ শুরু হয় এবং তার শুক্রবারও অব্যাহত ছিলো। উভয় পক্ষই সহিংসতা শুরু করা এবং যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের জন্য অপরকে দোষারোপ করছে।
শুক্রবার কিরগিজ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তাজিকিস্তানের হামলায় কিরগিজস্তানে এখন পর্যন্ত প্রায় ২৪ জন নিহত হয়েছেন। অন্যদিকে তাজিকিস্তান থেকে প্রাথমিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সেখানে অন্তত তিনজন নিহত হয়েছেন।
কিরগিজ সীমান্তরক্ষীরা তাজিকিস্তানকে সীমান্তের এমন অংশে অবস্থান নেওয়ার জন্য অভিযুক্ত করেছে যা এখনও বিতর্কিত অর্থাৎ সীমানা নির্ধারণ করা হয়নি। অন্যদিকে তাজিকিস্তান বলেছে, কিরগিজ রক্ষীরা উস্কানি ছাড়াই গুলিবর্ষণ করেছে।
বিবিসি’র তথ্য অনুযায়ী, স্থানীয় সময় শুক্রবার বিকেল চারটায় থেকে একটি যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। কিন্তু কিরগিজস্তান বলেছে, তার দুটি গ্রামে গোলাবর্ষণ করা হয়েছে। এমনকি হামলায় ট্যাংক এবং সাঁজোয়া যান ব্যবহার করার অভিযোগও এনেছে দেশটি।
অন্যদিকে কিরগিজ বাহিনী ‘ভারী অস্ত্রসহ’ একটি ফাঁড়ি এবং সাতটি গ্রামে গোলাবর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ করেছে তাজিকিস্তান।
রেড ক্রসের একটি আঞ্চলিক শাখা জানিয়েছে, সহিংসতা এড়াতে প্রায় ২০ হাজার মানুষ তাদের বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে গেছেন। এই সংঘর্ষ দুই দেশের মধ্যে সর্বাত্মক যুদ্ধের আশঙ্কা নতুন করে তৈরি করেছে।
এর আগে ২০২১ সালে উভয় দেশের মধ্যে নজিরবিহীন লড়াইয়ে প্রায় ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছিল। গত বুধবার তিনটি পৃথক ঘটনায় কমপক্ষে দুইজন নিহত হওয়ার পর এই দুই দেশের মধ্যে বিরোধ ছড়িয়ে পড়ে।