নিজস্ব প্রতিবেদক: কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের চর গোরকমন্ডপ এলাকায় ধরলা নদীর ভাঙনে গত এক সপ্তাহে চর গোরকমন্ডপ বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ অর্ধাংশ বিলীন হওয়াসহ প্রায় ৫০টি পরিবারের ভিটেমাটি ও ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের পাশে বসবাসরত প্রায় ৩ হাজার পরিবার ভাঙন আতঙ্কে রয়েছে। ধরলা নদী ভাঙনের হুমকির মূখে গোরকমন্ডপ স্কুল, মাদরাসা, মসজিদসহ ঘরবাড়ি ও জমিজমা। নাওডাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান হাছেন আলী ভাঙন রোধে পনেরো দিন আগে কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডে লিখিত আবেদন জানালেও জিও ব্যাগ দ্বারা ভাঙন রোধে কোনও পদক্ষেপ নেয়নি পানি উন্নয়ন বোর্ড। জরুরিভাবে ভাঙন রোধ না হলে মানচিত্র থেকে হারিয়ে যাবে নাওডাঙ্গা ইউনিয়ন।
১নং নাওডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হাছেন আলী জানান, গত পনেরো দিন আগে নদী ভাঙন রোধে কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ড কে লিখিত আবেদন জানালেও তারা কোন পদক্ষেপ নেয়নি।
(বিশেষ দ্রষ্টব্য- ধরলা নদী শাসন, বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ও ভাঙন রোধে একনেকের ৫৯৫কোটি টাকা ব্যয়ে ৩৮টি প্যাকেজে ২১কিলোমিটার কাজ চলছে। কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের অবহেলায় ধরলা নদীর উত্তরে ফুলবাড়ী উপজেলার নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের চর গোরকমন্ডপ ভোলার-বাড়ী থেকে ঘিরুরঘাট পর্যন্ত এলাকাবাসী ৫০০মিটার একনেক বরাদ্দ থেকে বঞ্চিত হয়ে ধরলা নদী ভাঙনে নিঃস্ব হচ্ছেন)