কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি: বর্তমান সরকারের পূর্ণ মেয়াদ শেষে নির্বাচন হলে ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসের মধ্যে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে। সে হিসাবে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের এখনো ঢের সময় বাকি। তবে এত দূরের ভোটকে সামনে রেখে সরগরম হয়ে উঠছে দেশ। প্রধান দুই রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি হলেও কুড়িগ্রাম জেলায় তার বিপরীত। উত্তরের এ জেলায় অনেকটাই আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির দখলে। বিএনপি’র দলীয় অভ্যন্তরীণ কোন্দলে অনেকটাই জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন নেতাকর্মীরা। বিএনপি নেতারা এমপি প্রার্থী হবেন কি না সে ব্যাপারও সন্ধিহান সাধারণ ভোটাররা। মূলত এই সুযোগটাই কাজে লাগাচ্ছেন আওয়ামী লীগ সহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতারা।
ক্ষমতাশীল দলের সম্ভাব্য প্রার্থীরা দলীয় কর্মসূচির পাশাপাশি সামাজিক, সাংস্কৃতিকসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে নিজেদের অবস্থান জানান দিচ্ছেন। কিছু এলাকায় সম্ভাব্য প্রার্থীরা মাঠে নেমে চালাচ্ছেন প্রচার-প্রচারণা।
এরই ধারাবাহিকতায়, গতকাল ০৩ জুন ফুলবাড়ি উপজেলাধীন নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের বালারহাট,শিমুলবাড়ী ইউনিয়নের নয়ার হাট,ব্রিজের বাজার ও বোট বাজারে যুবলীগের নেতৃবৃন্দ,আওয়ামী লীগের ইউনিয়ন সভাপতি/সাধারণ সম্পাদক সহ ছাত্র লীগ,কৃষকলীগের নেতৃবৃন্দের সাথে নিয়ে সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড প্রচার ও আওয়ামী লীগ, যুবলীগকে গতিশীলতার জন্য বিভিন্ন হাটবাজারে প্রচার প্রচারণা সহ সাধারণ মানুষের সঙ্গে মতবিনিময় করেন কুড়িগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও কুড়িগ্রাম জেলা যুবলীগের আহবায়ক ও সাবেক সাধারন সম্পাদক, আলহাজ্ব এডভোকেট রুহুল আমিন দুলাল (হাজী দুলাল)
এডভোকেট দুলাল বলেন, “কুড়িগ্রাম সদর আসনটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সারা বাংলাদেশে জননেত্রী শেখ হাসিনা যে উন্নয়ন করেছেন সেই উন্নয়নের বার্তা সাধারণ জনগণের কাছে পৌঁছে দিচ্ছি এবং বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে জামাত-বিএনপি কর্তৃক মিথ্যা অপপ্রচার রোধে আমি কাজ করে যাচ্ছি।”
তিনি আরো বলেন, “আমি জেলার প্রায় সব জায়গাতেই গিয়েছি এবং সাধারণ মানুষের সাথে কথা বলে যেটি জানতে পেরেছি, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আবারও আওয়ামী লীগ সরকার তথা রাষ্ট্রনায়ক বঙ্গবন্ধু কন্যাকেই ক্ষমতায় দেখতে চান জেলার সাধারণ জনগণ।”