শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ১টার দিকে উপজেলার খলিশাকুণ্ডি ইউনিয়নের পিপুলবাড়িয়া মাঠ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, অ্যাম্বুলেন্সটি দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে স্ট্রোকের রোগী লিটনকে নিয়ে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে যাচ্ছিল। পথে ডাকাতেরা পিপুলবাড়িয়া মাঠে থাকা যাত্রী ছাউনির সামনে রাস্তার ওপর গাছের গুঁড়ি ফেলে গতিরোধ করে। এরপর পাঁচ-ছয়জনের ডাকাত দল দেশীয় অস্ত্র হাতে অ্যাম্বুলেন্সটির চালক ও যাত্রীদের জিম্মি করে।
অ্যাম্বুলেন্সের চালক রতন বলেন, রাতে রোগীকে অক্সিজেনসহ কুষ্টিয়ায় নিয়ে যাচ্ছিলাম। গাড়িতে রোগী ও তার স্বজনসহ মোট চারজন ছিলেন। পিপুলবাড়িয়া মাঠ এলাকায় ডাকাতেরা গাড়ি আটকে আমার গলায় অস্ত্র ঠেকিয়ে টাকা ছিনিয়ে নেয়। তারা চলে যাওয়ার আগে কাউকে কিছু না বলার জন্য হুমকি দিয়ে যায়।
রোগীর স্বজন জালাল বলেন, আমরা অ্যাম্বুলেন্স-চালককে কাতলামারী দিয়ে কুষ্টিয়ায় যেতে মানা করেছিলাম, কিন্তু তিনি ওই পথেই গেলেন। পথে ডাকাতেরা আমাদের কাছ থেকে প্রায় ৩০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। রাত ২টার দিকে আমরা রোগীকে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে ভর্তি করি।
দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. তৌহিদুল হাসান তুহিন গণমাধ্যমকে বলেন, রাত সাড়ে ১২টার দিকে ডায়াবেটিস ও হৃদরোগজনিত সমস্যায় লিটন নামে এক রোগী ভর্তি হন। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুষ্টিয়ায় পাঠানো হয়েছিল। পথে এমন ডাকাতির ঘটনা অত্যন্ত উদ্বেগজনক।
দৌলতপুর থানার ওসি সোলাইমান শেখ বলেন, ‘ডাকাতির বিষয়ে আমরা কিছু জানি না। এ বিষয়ে এখনও কোনো অভিযোগ পাইনি।’