কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে ডাকাতির সময় শিশুর গলায় অস্ত্র ঠেকিয়ে এক গৃহবধূকে পালাক্রমে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। পরে ডাকাতেরা ঘরে থাকা স্বর্ণালংকারসহ প্রায় দুই লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ভুক্তভোগীর মেডিকেল পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।
গত সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাতে উপজেলার হোগলবাড়িয়া ইউনিয়নে ঘটনাটি ঘটে। এক সপ্তাহ পর সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) গৃহবধূ ও তার শ্বশুর থানায় দুইটি মামলা করেন।
ভুক্তভোগী পরিবার ও পুলিশ সূত্র জানায়, গত ১৫ সেপ্টেম্বর রাতে স্থানীয় রুশুল মহলদারের ছেলে লাবু (৩৬), একই এলাকার তারিখ (৪২) ও সুবেলের (৩৫) নেতৃত্বে সাত থেকে আটজন ডাকাত প্রথমে আব্দুর রাজ্জাক কলেজপাড়া গ্রামের জহুরুল ইসলামের বাড়িতে প্রবেশ করে। সেখান থেকে তারা নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট করে। এরপর তারা ওই নারীর বাড়িতে যায়। সেখানে অভিযুক্তরা তিন বছরের শিশুর গলায় অস্ত্র ঠেকিয়ে গৃহবধূকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এরপর তারা ঘর থেকে স্বর্ণালংকারসহ প্রায় দুই লাখ টাকার মালামাল নিয়ে যায়।
পরিবারের চিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে এসে গৃহবধূকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে দৌলতপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এ ঘটনায় গৃহবধূ ও তার শ্বশুর বাদী হয়ে গত সোমবার দৌলতপুর থানায় পৃথক দুইটি মামলা করেন। রাতেই পুলিশ লাবু, সুবেল ও তারিখকে গ্রেপ্তার করে।
দৌলতপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সোলাইমান শেখ বলেন, “তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অপরাধের সঙ্গে জড়িত কেউই রক্ষা পাবে না। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।”