হুমায়ুন কবির, কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি: ভাবের আদান-প্রদান শেষে একে অপরের দীক্ষা নিয়ে মহাত্মা লালনের মরমে বানি বুকে ধারণ করে তিন দিনব্যাপী লালন তীরধান দিবসের সাঙ্গ হল সাধু সঙ্গ।
১ কার্তীক থেকে শুরু হয়ে তিন দিনব্যাপী ১৩৩ তম বাউল সাধু সংঘের শিরোমণি ফকির লালন শাহের তিরোধান দিবসের আজ বৃহস্পতিবার শেষ দিন।পূর্ণসেবার মধ্য দিয়ে একে অপরকে বিদায় জানিয়ে এরই মাঝে সাধু ভক্তরা শেউড়িয়া লালনের আখড়াবাড়ি থেকে বিদায় নিতে চলেছে।
সাধু বাবুরা বলছেন আগামী বছর ফিরে লালনের মরমি বাণির দীক্ষা নিয়ে মানুষের মাঝে মানুষের ভেদাভেদ ভুলে একে অপরের সঙ্গী হয়ে দেশ ও কল্যাণে কাজ করব।
বুধবার দুপুরে জেলা প্রশাসন এহতেশাম রেজার পূর্ণসেবার মধ্য দিয়ে মূলত সাধুসঙ্গের মিলনমেলা সাঙ্গ হয়। তবে একে অপরের সাধুদের মাঝে মেল বন্ধনের যে দেওয়া নেওয়া তা আজ বৃহস্পতিবার পর্যন্তও দেখা যায়।
লালন মাজারের বিপরীত দিকে তিন দিনের লালন মেলায় উপচে পড়া মানুষের ঢল যেন আর সইছে না সেউড়িয়া আখড়া বাড়ি। কালি নদীর পারে সাধু বাউলের যে এক মেল বন্ধন তা যেন তিন দিনের এক মিলন মেলায় পরিণত হয়েছিল।
মহাত্বা লালনের আধ্যাত্বিক মরমী বাণী “মানুষ ছাড়া ক্ষেপারে তুই মুল হারাবি” “মানুষ ভজলে সোনার মানুষ হবি” বাণীকে বুকে লালন করে ধারণ করে সাধু ভক্তরা অশ্রুসিক্ত নয়নে বিদায় নিচ্ছে আখড়াবাড়ি সাইজির চরণধূলি নিয়ে।