রং তুলি শেষ আঁচড় টেনে দেবী দূর্গাসহ সব প্রতিমা তৈরির কাজ ইতিমধ্যে প্রায় শেষ করেছেন প্রতিমা তৈরির কারিগররা। সনাতন ধর্মাবলীদের সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসব। এই শারদীয় দুর্গোৎসবকে কেন্দ্র করে পূজা মণ্ডপগুলো আলোকসজ্জার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ইতিমধ্যে প্রায় সবকটি মন্দিরেই প্রতিমা তৈরীর কাজ প্রায় শেষের দিকে। শেষ মুহুর্তের রং এর কাজ চলছে। সেই সাথে শারদীয় দুর্গোৎসবকে ঘিরে প্রশাসনের পক্ষ থেকে বাড়ানো হয়েছে নজরদারী।
জেলা পূজা উৎদযাপন পরিষদের দেয়া তথ্য মতে, এবছর কুষ্টিয়া জেলায় ২শ ৪৯টি পূজা মণ্ডপে এ শারদীয় দূর্গোৎসব পালন করা হবে।
এর মধ্যে-কুষ্টিয়া সদর উপজেলার ৮২টি, খোকসা উপজেলায় ৬৫টি, কুমারখালী উপজেলায় ৫৫টি, মিরপুর উপজেলায় ২৫টি, দৌলতপুর উপজেলায় ১৩টি এবং ভেড়ামারা উপজেলায় ৯টি।
মিরপুর উপজেলার সদরপুর সার্বজনীন পূজা মন্দিরের প্রতিমা শিল্পী সাধন কুমার পাল জানান, প্রতিমা তৈরীর কাজ প্রায় শেষের দিকে। শুধু ছোট ছোট কিছু কাজ শেষ হয়নি। সেগুলো আজ-কালের মধ্যে হয়ে যাবে।
একই মন্দিরের পূরোহীত তরুন কুমার চক্রবর্তী জানান, আগামী ১লা অক্টোবর ষষ্ঠী পূজার মধ্য দিয়ে শুরু হবে শারদীয় দূর্গোৎসবের মূল আনুষ্ঠানিকতা। মা দুর্গা এবার মর্তে আসছেন গজে, আর যাবেন নৌকায়। যা সবার জন্য মঙ্গল বয়ে আনবে। আমরা পূজার সকল প্রস্ততি ইতিমধ্যেই সম্পন্ন করেছি।
কুষ্টিয়া পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক জয়দেব কুমার বিশ্বাস জানান, এবারে কুষ্টিয়া জেলায় ২৪৯টি পূজা মণ্ডপে শারদীয় দূর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হবে। এ অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে প্রায় মন্দিরে প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। প্রশাসনের পাশাপাশি আমরা স্বেচ্ছাসেবক রাখার ব্যবস্থা করেছি।
কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার (এসপি) খাইরুল আলম জানান, শারদীয় দূর্গোৎসবকে ঘিরে মণ্ডপগুলোতে আনসার বাহিনীর পাশাপাশি পুলিশ মোতায়েন থাকবে। সেই সাথে টহল টিমও কাজ করবে। যে কোন প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পুলিশ সতর্ক রয়েছে।