আসন্ন কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক) নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা বসানো হবে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। প্রায় ৫ বছর পর আবারও প্রযুক্তির সহায়তায় কেন্দ্র পর্যবেক্ষণের ব্যবস্থায় ফিরে যাচ্ছে সংস্থাটি।
বৃহস্পতিবার (১২ মে) নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর জানিয়েছেন, কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রতিটি ভোটকেন্দ্রের বাইরে একটি এবং প্রত্যেক ভোটকক্ষে একটি করে সিসি টিভি থাকবে। যাতে সেখানে কোনো অনিয়ম হলে পরে পর্যালোচনা করে ব্যবস্থা নেওয়া যায়।
তিনি বলেন, রিটার্নিং কর্মকর্তা যখন নির্বাচনি মালামাল নিয়ে ভোটকেন্দ্রে যাবেন, তখন কিংবা তার আগে থেকেই সিসি ক্যামেরা থাকবে। আর ভোটগণনা হয়ে রেজাল্ট ঘোষণার পর পর্যন্ত সেটা থাকবে।
সাবেক এ ইসি সচিব বলেন, ইভিএম কাস্টমাইজ ও ভোটগণনার সময় প্রার্থী এবং প্রার্থীর প্রতিনিধি নির্বাচনের প্রতিটি স্তরে রাখতে হবে। এটা আমাদের আইনেই আছে।
আগামী ১৫ জুন এ সিটির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
জানা গেছে, ২০১০ সালে এক এগার সময়কার এটিএম শামসুল হুদার নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন ভোট ব্যবস্থাপনায় প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়। সে মোতাবেক তখনকার বড় বড় নির্বাচনগুলোতে সিসি টিভি ব্যবহারের পাশপাশি অনলাইনেও ভোটগ্রহণ মনিটরিং করা হয়। ২০১১ সালের নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচনসহ বেশকিছু নির্বাচনে এতে ব্যাপক সাফল্য আসে। সেই ধারাবাহিকতা অক্ষুণ্ন রেখে পরে কাজী রকিবউদ্দীন আহমদের কমিশনও সীমিত পরিসরে অনলাইনে ভোটকেন্দ্র মনিটরিং করেন।
অনলাইনে ভোটকেন্দ্র মনিটরিংয়ের জন্য সে সময় ব্যবহার করা হয় জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম ‘স্কাইপি’। এতে সংশ্লিষ্ট ভোটকেন্দ্রে ল্যাপটপের মাধ্যমে ভিডিও ক্যামেরা সংযোগ করে ইন্টারনেটের মাধ্যমে পুরো ভোটকক্ষ ক্যাপচার করা হতো। আর তা পর্যবেক্ষণ করার জন্য নির্বাচন কমিশনের একটি টিম তৎপর থাকতো সার্বক্ষণিক। পুরো বিষয়টি দেখভাল করা হতো ইসি তথ্য ও যোগযোগ প্রযুক্তি বিভাগের মাধ্যমে।সময় পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে সেই বিষয়টিকে ব্যয় বৃদ্ধির অজুহাতে পাশ কাটিয়ে চলেছে কেএম নূরুল হুদার নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন। ২০১৮ সালের ৩০ জুলাই রাজশাহী, সিলেট ও বরিশাল সিটি নির্বাচনের পর আর সিসি ক্যামেরা ব্যবহার করা হয়নি।