জাহাঙ্গীর আলম, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি: কুড়িগ্রামে শীত ও ঘন কুয়াশা ভোগান্তিতে পড়েছে মানুষজন।সকাল ৯ টায় জেলায় ৮.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।যা গত কয়েকদিন ধরে তাপমাত্রা কমতে শুরু করছে। কনকনে ঠান্ডায় খেটে খাওয়া মানুষজন পড়ছে বিপাকে।সড়ক পথে হেড লাইট না জ্বালিয়ে যেমন যানবাহনগুলো চলছে না তেমনি নৌপথে যাত্রীসহ মাঝিরাও পড়েছে বিপাকে।ঘন কুয়াশায় দিক ভুলে নৌকা অন্যপথে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
কুড়িগ্রাম রাজারহাট আবহাওয়া ও কৃষি পর্যবেক্ষনাগারের কর্মকর্তা মোঃ তুহিন মিয়া জানান,জেলায় সকাল ৬ টায় সর্ব নিম্ন তাপমাত্রা ৮.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।মৃদু শৈত্য প্রবাহে ঘনকুয়াশা মাত্র ক্রমান্বয়ে আরো ঘনভুত হয়ে মাঝারি শৈত্য প্রবাহের আশঙ্কা করছে সুত্রটি।
শ্রমিক মোঃ আব্দুল হামিদ বলেন,প্রতিদিন সাইকেলে করে কাজে যেতে হয়।যে কনকনে ঠান্ডা পড়েছে সাইকেল চালিয়ে শহর যেতে খুব কষ্ট হয়।হাত পা শীতে বরফ হয়ে যাচ্ছে।
মোঃ মশিউর রহমান বলেন, এভাবে ঘনকুয়াশা আর ঠান্ডায় কাজ করতে খুব সমস্যা হয়।কাজ না করলে তো আর সংসার চলে না। উপায় না পেয়ে কষ্ট হলেও কাজে যাচ্ছি।
মোগলবাসা ঘাটের মাঝি আব্দুল জলিল বলেন,একে তো কনকনে ঠান্ডা তার উপর ঘনকুয়াশা।এ সময় নদীতে পানি কম থাকে ফলে নৌকা নিয়ে চলতে খুব সমস্যা। অনেক সময় দিক ভুলে অন্যচরে ঢুকে যাই।যাত্রীদের সঠিক সময়ে পৌছাতে বিলম্ব হয়।
গৃহবধূ শাহেরা খাতুন বলেন,এই শীতে খুব বিপদে আছি।গরম কাপড়ের অভাবে বাচ্চাগুলো খুব কষ্টে আছে। কেউ যদি একটা কম্বল দিতো ঠান্ডার কষ্টটা একটু কমতো।
কুড়িগ্রাম জেলা ত্রাণ ও পূর্ণবাসন কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল হাই সরকার বলেন, কুড়িগ্রাম জেলার ৯টি উপজেলায় ৩৮ হাজার শীতবস্ত্রে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। যা বিতরণের কার্যক্রম অব্যহত রয়েছে। এছাড়াও দুঃস্থ ও অসহায় মানুষদের পাশে সরকারি বেসরকারিভাবে বিভিন্ন সংগঠন শীত বস্ত্র বিতরণের কাজ শুরু করছে বলে জানান তিনি।