কৃষিজমি নষ্ট করে কেউ শিল্প স্থাপন করলে কোনও সুবিধা দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সোমবার (১৯ ডিসেম্বর) বঙ্গবন্ধু কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে তিনি এ কথা বলেন।
নানা বাধা-বিপত্তির মুখেও ধান উৎপাদন অব্যাহত থাকায় দেশে খাদ্যের সংকট হয়নি উল্লেখ করে সরকার প্রধান বলেন, আমাদের জনসংখ্যা বেশি। খাদ্য নিরাপদ করতে হলে কৃষি জমি রক্ষা করতে হবে। এজন্য একশ’ শিল্প অঞ্চল করছি। শিল্প করলে এখানেই করতে হবে। কৃষি জমিতে শিল্প করা যাবে না। আগে যারা ক্ষমতায় ছিল তারা এগুলো চিন্তা না করায় অনেক ভালো মানের জমি আমরা হারিয়েছি। আমরা আর জমি হারাতে চাই না।
উৎপাদন বেড়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ধান, মাছ ও ডিম উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করতে পেরেছি। গবেষণা করেই কিন্তু আমরা এটা করতে পেরেছি। অনেকেই প্রশ্ন তুলতে চেষ্টা করেছে। কিন্তু আমরা চেষ্টা করেছি বলেই আমাদের খাদ্য ঘাটতি কখনও হয়নি।
কৃষিপণ্যের উৎপাদন করে দেশের চাহিদা মিটানোর পাশাপাশি রপ্তানির ওপর নজর রয়েছে সরকারের বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। তাই কৃষিপণ্যের বাণিজ্যিক ব্যবহার আরও বাড়াতে হবে। পাশাপাশি কৃষিক্ষেত্রের গবেষণাতেও গুরুত্ব দিতে হবে।
খাদ্য সংকটের বিষয়ে শেখ হাসিনা বলেন, কারও কাছে যেন হাত পেতে না চলতে হয়, সেদিকে বিশেষ দৃষ্টি দিচ্ছে সরকার।
সরকারপ্রধান বলেন, কেবল কৃষি উৎপাদন করলেই হবে না, প্রক্রিয়াজাতকরণও করতে হবে। কাঁচামাল যেটা আমাদের প্রয়োজন, আমরা যেন বেশি ফলন করে বিদেশেও রপ্তানি করতে পারি সেদিকে নজর দিতে হবে। আমরা এদিকে লক্ষ্য রেখে নানা উদ্যোগ নিয়েছি। খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হলেই হবে না, পুষ্টিও নিশ্চিত করতে হবে। সেদিকে আমরা নজর দিচ্ছি।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘চাহিদার ৯৮ ভাগ ভোজ্যতেলই আমদানি করতে হয়। এটা আমরা কেন করব? সরিষার তেল স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। এটাকে আরও হালকা করা যায়। চালের কুড়া থেকেও এখন তেল হচ্ছে। এ নিয়ে আরও গবেষণা হওয়া দরকার।