কোটা আন্দোলনে নিহতদের স্মরণে আগামীকাল বুধবার (১৭ জুলাই) বাদ যোহর সারাদেশে গায়েবানা জানাজা কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)।
মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) রাতে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই কর্মসূচির ঘোষণা দেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি জানান, কোটা সংস্কার আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের উপর পুলিশ ও ছাত্রলীগের হামলায় ৭ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের জন্য আগামীকাল বুধবার বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে দুপুর ১:৩০ টায় গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এবং সারাদেশে একই কর্মসূচি পালিত হবে।
যুগপৎ আন্দোলনে থাকা রাজনৈতিক দল সমূহের যৌথ বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল বলেন, ছাত্রদের কোটা সংস্কার আন্দোলনের ন্যায্য ও যৌক্তিক দাবি পূরণে কার্যকরী ও বিশ্বাস যোগ্য উদ্যোগ নেয়ার পরিবর্তে ছাত্র-তরুণদের এই আন্দোলনে গতকাল থেকে আজ পর্যন্ত যেভাবে ঠান্ডা মাথায় পরিকল্পিতভাবে বলপ্রয়োগ করা হয়েছে এবং সরকারি দলের ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগসহ তাদের বিভিন্ন সংগঠন ও আইন শৃংঙ্খলা বাহিনীর হাতে আজ যেভাবে প্রায় সারা দেশে হামলা, আক্রমণ ও গুলিবর্ষণ করা হয়েছে, গণমাধ্যমের সংবাদ অনুযায়ী এখনও পর্যন্ত ৭জনকে হত্যা হয়েছে এই ঘটনায় আমরা ক্ষোভ, তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
তিনি আরও বলেন, গত ৪৮ ঘণ্টায় চিহ্নিত সরকার দলীয় সন্ত্রাসীদের হাতে যেভাবে দেশব্যাপী সহস্রাধিক ছাত্রছাত্রীদের আহত হবার ঘটনা ঘটেছে, অনেকে গুরুতর আহত অবস্থায় জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে রয়েছেন। আমরা মনে করি, এই সমুদয় ঘটনার পুরো দায়-দায়িত্ব সরকার ও সরকারি দলের। সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে যেভাবে উস্কানি সৃষ্টি করা হয়েছে এবং ছাত্রলীগকে সাধারণ শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ যৌক্তিক আন্দোলন মোকাবেলা করার নির্দেশনা নামে দেয়া হয়েছে তা গত ২ দিনের সমগ্র ঘটনার ক্ষেত্র তৈরি করেছে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, অনতিবিলম্বে কোটা ব্যবস্থার ন্যায্য ও যৌক্তিক সংস্কারের দাবি অনতিবিলম্বে মেনে নেয়ার জন্য সরকার ও সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। আমরা সরকারকে হুঁশিয়ার করে বলতে চাই যে হত্যা, দমন-নিপীড়ন করে অতিতের কোন স্বৈরাশাসক যেমন শেষ রক্ষা করতে পারেনি বর্তমান ফ্যাসিবাদী সরকারও দমন-নিপীড়নের এই পথে শেষ রক্ষা করতে পারবে না। আমরা দেশবাসীকে ছাত্র সমাজের এই ন্যায্য ও গণতান্ত্রিক দাবির পক্ষে সোচ্চার হতেও উদ্দাত্ত আহ্বান জানাই।