যুদ্ধ অবসানের পদক্ষেপ হিসেবে আসন্ন ক্রিসমাসের মধ্যে ইউক্রেন থেকে সৈন্য প্রত্যাহারের জন্য রাশিয়াকে আহ্বান জানিয়েছে কিয়েভ।
তবে এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে মস্কো বলেছে, ‘ক্রিসমাস যুদ্ধবিরতির’ কোনো পরিকল্পনা নেই। খবর আলজাজিরার।
প্রায় ১০ মাসে গড়িয়েছে ইউরোপের সবচেয়ে বড় এই সংঘাতটি।
যুদ্ধের অবসান ঘটাতে রাশিয়া ও ইউক্রেন কেউই বর্তমানে আলোচনায় বসেনি।
বরং গত কয়েক সপ্তাহের মধ্যে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে হামলার ঘটনা বেড়েছে।
বুধবার প্রথম বড় ড্রোন হামলা ঘটে কিয়েভে। দুটি প্রশাসনিক ভবনে ড্রোনটি আঘাত হেনেছে। তবে দেশটির বিমান প্রতিরক্ষা বাহিনী আক্রমণটিকে অনেকাংশে প্রতিহত করতে সক্ষম হয়।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির দাবি, তাদের বাহিনী ১৩টি ড্রোন ভূপাতিত করতে পেরেছে।
তুষারাচ্ছন্ন কিয়েভের একটি জেলার বাসিন্দারা বলছিলেন, ‘তারা ইরানের শাহেদ ড্রোনের ঘূর্ণায়মান ইঞ্জিনের বিকট শব্দ শুনেছেন। তারপর তাদের বাড়ির পাশের একটি ভবনে বড় ধরনের বিস্ফোরণ ঘটেছে।’
হামলার সময় কাজে বেরোনোর জন্য প্রস্ততি নিচ্ছিলেন ৩৯ বছর বয়সী ইয়ানা। তিনি বলেন, ‘আমি চাই এইসব শেষ হয়ে যাক…সেই জারজ (রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির), মারা যাক।
ইউক্রেনের জ্বালানি অবকাঠামোর ওপর রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলায় দেশটির লাখো মানুষকে বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় কাটাতে হচ্ছে।
বিদ্যুৎ না থাকায় প্রচণ্ড শীতের মধ্যে ঘর উষ্ণ রাখার ব্যবস্থা সচল রাখতে পারছে না তারা। রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন ভূপাতিত করতে ইউক্রেন মিত্রদেশগুলোর কাছে অত্যাধুনিক যুদ্ধ সরঞ্জাম চেয়ে আসছে। এই অনুরোধে সাড়া দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র কিয়েভকে প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধব্যবস্থা সরবরাহের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।