করোনাভাইরাস মহামারি মোকাবিলায় কোভিড-১৯ টিকার চতুর্থ ডোজ দেয়ার সুপারিশ করেছে জাতীয় কারিগরি উপদেষ্টা কমিটি।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা বুধবার এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি জানান, সম্মুখ সারির যোদ্ধা, ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তি ও গর্ভবতীদের চতুর্থ ডোজ দিতে বলা হয়েছে। চতুর্থ ডোজের জন্য পর্যাপ্ত টিকা আছে বলে ও ওই কর্মকর্তা জানান। ২০২১ সালে দেশে শুরু হয় করোনা টিকা দেয়ার কার্যক্রম।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, সরকারের লক্ষ্যমাত্রা ছিলো মোট জনসংখ্যার ৭০ শতাংশ মানুষকে টিকার আওতায় আনার। তবে এরই মধ্যে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি মানুষ টিকার প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন। আর দ্বিতীয় ডোজের বিপরীতে তৃতীয় ডোজ নিয়েছেন ৪৭ দশমিক শূন্য ছয় শতাংশ।
গত বছরের শেষে দিকে বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে করোনা টিকার চতুর্থ ডোজের অনুমোদন দেয় ইসরায়েল। ভাইরাসের অতিসংক্রামক ধরন ওমিক্রনে সংক্রমিত হওয়ার হাত থেকে সুরক্ষিত রাখতে প্রাথমিকভাবে কেবল দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাসম্পন্ন ব্যক্তিদেরই টিকার চতুর্থ ডোজ দেয়া সিদ্ধান্ত নেয় দেশটি।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর ২০২০ সালের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে। এদিকে ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম ৩ জনের দেহে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ওই বছরের ১৮ মার্চ দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।