ক্রিমিয়া উপদ্বীপে ইউক্রেনের পাঠানো ৪২টি ড্রোন ধ্বংস করার দাবি করেছে রাশিয়া। শুক্রবার ভোরে রাশিয়ার বিমান প্রতিরক্ষা বাহিনী ড্রোনগুলো ধ্বংস করে। এটি ছিল এ পর্যন্ত ইউক্রেনের সর্বোচ্চ ড্রোনের হামলা।
রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে, নয়টি ড্রোন বিমান প্রতিরক্ষা বাহিনী ধ্বংস করেছে। বাকি ৩৩টি ইলেকট্রনিক অস্ত্র দিয়ে ধ্বংস করা হয়। ফলে ড্রোনগুলো লক্ষ্যে পৌঁছানোর আগেই বিধ্বস্ত হয়।
শুক্রবার ভোরে ড্রোনগুলোর পাশাপাশি মস্কোর সীমান্তবর্তী কালুগা অঞ্চলে ইউক্রেনের একটি ক্ষেপণাস্ত্রও ধ্বংস করেছে রুশ প্রতিরক্ষা বাহিনী।
২০১৪ সালে ইউক্রেনের কাছ থেকে ক্রিমিয়া উপদ্বীপ দখলে নিয়ে নিজেদের সঙ্গে সংযুক্ত করে রাশিয়া।
এদিকে ইউক্রেনের ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির কোনো খবর তাৎক্ষণিক পাওয়া যায়নি। তবে ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে কয়েক ঘণ্টার জন্য কোনো কোনো অংশে ফ্লাইট স্থগিত করে রাশিয়া।
এদিকে ক্রিমিয়ার বন্দরশহর সেভাস্তোপলের গভর্নর মিখাইল রাজভোজায়েভ জানিয়েছেন, সেভাস্তোপলের উপকণ্ঠেও বেশ কয়েকটি ড্রোন ধ্বংস করা হয়েছে।
ইউক্রেন আগে কখনও প্রকাশ্যে রাশিয়ার অভ্যন্তরে বা ইউক্রেনের রুশ নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে হামলার দায় স্বীকার করত না। তবে সম্প্রতি কয়েক মাস ধরে তারা বলে আসছে, মস্কোর সামরিক অবকাঠামো ধ্বংস করা তাদের পাল্টা হামলাকে সহায়তা করছে।