ইউক্রেনের রুশ দখলকৃত খেরসন অঞ্চলের সঙ্গে ক্রিমিয়া উপদ্বীপের সংযোগকারী প্রধান সেতুতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়েছে। যার আংশিক রাশিয়ার দখলে রয়েছে। এ হামলার জন্য কিয়েভকে দায়ী করছে মস্কো।
টেলিগ্রামে ক্রিমিয়ায় রাশিয়ার নিয়োগ করা গভর্নর সার্গেই আকসিনভ বলেছেন, রাতে সেতুতে হামলা চালানো হয়েছে। তবে কেউ হতাহত হয়নি। ইউক্রেনের খেরসন অঞ্চলে অবস্থিত ক্রিমিয়া ২০১৪ সালে রাশিয়া দখল করে।
এদিকে অধিকৃত খেরসন প্রদেশে রাশিয়ান-স্থাপিত প্রশাসনের প্রধান ভ্লাদিমির সালদো, চোনহার রোড ব্রিজে একটি ভিডিও প্রকাশ করেন, যেখানে বিস্ফোরণের কারণে রাস্তা ও পিচ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।
সেতুটি মেরামত এবং যান চলাচল পুনরুদ্ধারের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভ্লাদিমির সালদো জানান, “যুক্তরাজ্যের নির্দেশে কিয়েভের দ্বারা সংঘটিত আরেকটি অর্থহীন কাজ।“
যদিও এ ব্রিজ হামলার দায় স্বীকার করেনি ইউক্রেন।
এদিকে সেতুটি মেরামত করতে কয়েক সপ্তাহ সময় লাগতে পারে বলে জানিয়েছে কর্মকর্তারা। এই সেতুর বিকল্প রাস্তার অবস্থা অনেক খারাপ, রাস্তার ওপর দিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ঘুরতে হয় বিকল্প রুটে।
রুশ তদন্তকারীরা জানান, সেতুতে চারটি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে ইউক্রেনীয় বাহিনী। এ ছাড়া সামরিক তদন্তকারীদের একজন মুখপাত্রের বরাতে রুশ রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আরআইএ জানিয়েছে, একটি ক্ষেপণাস্ত্রের চিহ্ন থেকে বোঝা যায় যে এটি ফ্রান্সে তৈরি করা হয়েছিল।
মূলত ব্রিজটি অস্ত্র ও রসদ সরবরাহের ক্ষেত্রে নিরাপদ রুট হিসেবে ব্যবহার করত রাশিয়া কারণ ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু পর থেকে রকেট বা ক্ষেপণাস্ত্র সীমার বাইরে ছিলো এই সেতু। তবে ইউক্রেনকে সরবরাহ করা ব্রিটিশ এবং ফরাসি অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর সীমা অনেক দূরে পর্যন্ত হওয়ায় এখন আর নিরাপদ রুট হিসেবে ব্যবহার করতে পারবে না রাশিয়ার।