ঢাকা , শনিবার, ০১ নভেম্বর ২০২৫, ১৭ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
নির্বাচনের তফসিল কবে, জানালেন ইসি আনোয়ারুল একই দিনে জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট করার চিন্তা করছে সরকার জামগড়া আর্মি ক্যাম্পের রাতভর অভিযানে অস্ত্র ও মাদকসহ গ্রেপ্তার তিনজন রাঙ্গামাটি রাজস্থলী উপজেলা যুবদলের ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠিত ন্যায়বিচার সবার জন্য, তবু গ্রামীণ দরিদ্ররা এখনো বঞ্চিত বিএনপি পরিবারকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে এটাই আমাদের নেতার নির্দেশ: এম এ মালিক ডিজিটাল কোর্ট ও অনলাইন বিচার: স্বচ্ছতার নতুন দিগন্ত না নতুন সংকট? কাপ্তাইয়ে পল্টন ট্র্যাজেডি দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত বাংলাদেশে বৃহৎ নির্বাচন পর্যবেক্ষক দল পাঠাবে ইইউ: রাষ্ট্রদূত মিলার যুদ্ধবিরতি ভেঙে গাজায় ইসরায়েলের হামলা, নিহত ১৮ ফিলিস্তিনি

খাগড়াছড়িতে প্রবারণা পূর্ণিমা উদযাপন

কাওসার হোসেন মামুন, খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি

খাগড়াছড়িতে যথাযোগ্য ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে জেলার বিভিন্ন বৌদ্ধ বিহারে প্রবারণা পূর্ণিমা পালিত হচ্ছে। বৌদ্ধ ভিক্ষুদের আষাঢ়ী পূর্ণিমা থেকে প্রবারণা পর্যন্ত তিন মাস বর্ষাবাসের পর এই পূর্ণিমা উদযাপিত হয়। ভিক্ষুরা এই সময়কাল আত্মশুদ্ধি, ধ্যান এবং সাধনার মাধ্যমে মনের পবিত্রতা অর্জনের জন্য পালন করেন।সোমবার (৬ আক্টোবর) সকাল থেকে খাগড়াছড়ি কেন্দ্রীয় য়ংড বৌদ্ধ বিহার, ধর্মপুরের ঐতিহ্যবাহী পুরনো আর্য বনবিহার, কল্যাণপুর বিহারসহ জেলার বিভিন্ন বিহারে দিনব্যাপী ধর্মীয় অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।সকালেই দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনায় বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী নারী ও পুরুষরা পঞ্চশীল গ্রহণ করেন। এরপর বুদ্ধের উদ্দেশ্যে ফুলপূজা, বুদ্ধপূজা, বুদ্ধমূর্তি দান, অষ্টপরিষ্কার দান, সংঘ দান এবং ভিক্ষু দান অনুষ্ঠিত হয়।দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের মধ্যে আকাশে রঙিন ফানুস উড়ানোর কর্মসূচিও রয়েছে। এছাড়া বিহারে আগত ভক্তরা বৌদ্ধ ভিক্ষুদের কাছ থেকে ধর্মদেশনা শ্রবণ করেন।খাগড়াছড়ি য়ংড বৌদ্ধ অধ্যক্ষ ক্ষেমাসারা থেরো জানান, ‘তিন মাস বর্ষাবাস শেষে প্রবারণা পূর্ণিমা পালন করা হয়। প্রবারণার অর্থ হলো ভুল-ত্রুটি মাফ করা, একে অপরের প্রতি ক্ষমাশীল থাকা ও মৈত্রী বজায় রাখা। কোনো ধরনের হিংসা বা বিদ্বেষ যেন না থাকে এবং সকল প্রাণী সুখী হয়। তবে এবছর সাম্প্রতিক সহিংসতার কারণে ভক্তদের উপস্থিতি কিছুটা কম। তাই আমরা এবছর নদীতে রিসিবি (কল্পতরী) ভাসাচ্ছি না। যা টাকা বিহারে উঠেছে, তা আমরা গুইমারা উপজেলার ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারদের মাঝে বিতরণ করেছি।’উল্লেখ্য, মহামতি গৌতম বুদ্ধ নির্বাণ লাভের পর আষাঢ়ী পূর্ণিমা থেকে আশ্বিনী পূর্ণিমা পর্যন্ত তিন মাস বর্ষাবাস শেষে প্রবারণা পূর্ণিমা পালন করেছিলেন। সেই থেকে বৌদ্ধ ধর্মীয় গুরুরা বর্ষাবাস শেষে এই দিনটি উদযাপন করে আসছেন।

ট্যাগ :

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপডেটের সময় : ০৮:২২:০৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৬ অক্টোবর ২০২৫
৫৪৬ Time View

খাগড়াছড়িতে প্রবারণা পূর্ণিমা উদযাপন

আপডেটের সময় : ০৮:২২:০৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৬ অক্টোবর ২০২৫

খাগড়াছড়িতে যথাযোগ্য ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে জেলার বিভিন্ন বৌদ্ধ বিহারে প্রবারণা পূর্ণিমা পালিত হচ্ছে। বৌদ্ধ ভিক্ষুদের আষাঢ়ী পূর্ণিমা থেকে প্রবারণা পর্যন্ত তিন মাস বর্ষাবাসের পর এই পূর্ণিমা উদযাপিত হয়। ভিক্ষুরা এই সময়কাল আত্মশুদ্ধি, ধ্যান এবং সাধনার মাধ্যমে মনের পবিত্রতা অর্জনের জন্য পালন করেন।সোমবার (৬ আক্টোবর) সকাল থেকে খাগড়াছড়ি কেন্দ্রীয় য়ংড বৌদ্ধ বিহার, ধর্মপুরের ঐতিহ্যবাহী পুরনো আর্য বনবিহার, কল্যাণপুর বিহারসহ জেলার বিভিন্ন বিহারে দিনব্যাপী ধর্মীয় অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।সকালেই দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনায় বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী নারী ও পুরুষরা পঞ্চশীল গ্রহণ করেন। এরপর বুদ্ধের উদ্দেশ্যে ফুলপূজা, বুদ্ধপূজা, বুদ্ধমূর্তি দান, অষ্টপরিষ্কার দান, সংঘ দান এবং ভিক্ষু দান অনুষ্ঠিত হয়।দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের মধ্যে আকাশে রঙিন ফানুস উড়ানোর কর্মসূচিও রয়েছে। এছাড়া বিহারে আগত ভক্তরা বৌদ্ধ ভিক্ষুদের কাছ থেকে ধর্মদেশনা শ্রবণ করেন।খাগড়াছড়ি য়ংড বৌদ্ধ অধ্যক্ষ ক্ষেমাসারা থেরো জানান, ‘তিন মাস বর্ষাবাস শেষে প্রবারণা পূর্ণিমা পালন করা হয়। প্রবারণার অর্থ হলো ভুল-ত্রুটি মাফ করা, একে অপরের প্রতি ক্ষমাশীল থাকা ও মৈত্রী বজায় রাখা। কোনো ধরনের হিংসা বা বিদ্বেষ যেন না থাকে এবং সকল প্রাণী সুখী হয়। তবে এবছর সাম্প্রতিক সহিংসতার কারণে ভক্তদের উপস্থিতি কিছুটা কম। তাই আমরা এবছর নদীতে রিসিবি (কল্পতরী) ভাসাচ্ছি না। যা টাকা বিহারে উঠেছে, তা আমরা গুইমারা উপজেলার ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারদের মাঝে বিতরণ করেছি।’উল্লেখ্য, মহামতি গৌতম বুদ্ধ নির্বাণ লাভের পর আষাঢ়ী পূর্ণিমা থেকে আশ্বিনী পূর্ণিমা পর্যন্ত তিন মাস বর্ষাবাস শেষে প্রবারণা পূর্ণিমা পালন করেছিলেন। সেই থেকে বৌদ্ধ ধর্মীয় গুরুরা বর্ষাবাস শেষে এই দিনটি উদযাপন করে আসছেন।