অতিরিক্ত চিনি খাচ্ছেন? চায়ে-দুধে চিনি ছাড়া চলছে না? লবণের বেলাতেও তাই? খাবারে কাঁচা লবণ এড়িয়ে চলুন। বাড়তি লবণ-চিনিই ভোগাচ্ছে আপনাকে।
চিনির অপকারিতা আমরা কম বেশি জানি। দাঁত নষ্ট, বাড়তি ক্যালরির কারণে ওজন বাড়া, ব্লাড প্রেশার বাড়ার তথ্য আমাদের অনেকেরই জানা। এ ছাড়াও রয়েছে বেশ কিছু অপকারিতা। যা শরীরের পক্ষে মারাত্মক ক্ষতি। বেশি চিনি লেপটিন প্রতিরোধক। এই লেপটিন খিদে নিয়ন্ত্রণ করে। তাই বেশি চিনি খেলে খিদে বাড়তেই থাকে। অতিরিক্ত চিনি খেলে ইনসুলিন হরমোনের কার্যকারিতা নষ্ট হয়। শরীরে ইনসুলিনের মাত্রা কমে বা বেড়ে গেলে মারাত্মক সব সমস্যা দেখা দেয়। মাত্রাতিরিক্ত চিনি খাওয়ার অভ্যাস লিভারকে অতিরিক্ত কাজ করতে বাধ্য করে। লিভারের কার্যক্ষমতা ধীরে ধীরে নষ্ট হতে থাকে।অতিরিক্ত চিনি, বিশেষ করে সফট পানীয়ের সঙ্গে নেওয়া বাড়তি চিনি কিডনির রোগের জন্য দায়ী। চিনির প্রতি আসক্তি দেহের পুষ্টি গ্রহণে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। চিনিতে রয়েছে ইউরিক অ্যাসিড। বাড়তি চিনিতে যে কোনও ধরনের বাতের ব্যথা বাড়িয়ে দেয়। বিশেষজ্ঞদের দাবি, মাত্রাতিরিক্ত চিনি খেলে প্যানক্রিয়াসের ক্যানসারের সম্ভাবনা বাড়ে।
সাম্প্রতিক এক গবেষণায় উঠে এসেছে বাড়তি লবণের বিপদবার্তা। ক্ষয়রোগ থেকে হাই ব্লাড প্রেশার, সবের জন্য দায়ী অতিরিক্ত লবণ। লবনের বিশেষ বৈশিষ্ট্য, শরীরে পানি ধরে রাখা। লবণের পরিমাণ বেশি হলে শরীরে অতিরিক্ত পানি বের হতে পারে না। ফলে উচ্চ রক্তচাপ, অনিয়ন্ত্রিত উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ ও ব্রেনস্ট্রোকের অন্যতম কারণ। কিডনির সমস্যা থাকলে লবণ মারাত্মক বিপদ ডেকে আনে। কিডনি, লিভার, মস্তিষ্ককে ধীরে ধীরে দুর্বল করে দেয়। অতিরিক্ত লবণের হাড়ের ক্যালসিয়াম ক্ষইতে থাকে। অস্টিওপোরোসিস রোগ দেখা দেয়।
সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে, অতিরিক্ত কাঁচা লবণ মস্তিষ্কের নিউরনকে প্রভাবিত করে। জ্ঞানসম্পর্কীয় ফাংশনগুলিতে প্রভাব পড়ে। পাকস্থলীর ঘা এবং কোলন ক্যানসারের মতো মারাত্মক রোগের অন্যতম কারণ অতিরিক্ত লবণ।