বিএনপির চেয়ারপারসনের আগমন ঘিরে বিভিন্ন শহর থেকে লন্ডনে জড়ো হচ্ছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। ব্রিটিশ আইনের প্রতি সম্মান দেখিয়ে নেতাকর্মীদের বিমানবন্দর এলাকায় ভিড় করতে নিষেধ করা হয়েছে। এরপরও বেগম জিয়ার সফর ঘিরে বেশ উচ্ছ্বসিত তারা।
বিমানবন্দরে শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণের পর খালেদা জিয়াকে ভর্তি করা হতে পারে লন্ডন ক্লিনিকে। এ জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে অ্যাম্বুলেন্স।
বিএনপির যুক্তরাজ্য শাখার সভাপতি এম এ মালিক জানিয়েছেন, শারীরিক অবস্থা ভালো থাকলে ছেলে তারেক রহমানের বাসায়ও যেতে পারেন বিএনপি নেত্রী।
এম এ মালিক বলেন, ‘অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত রাখা আছে। তিনি এখান থেকে সরাসরি হাসপাতালে যাবেন। যদি দেখা যায় যে তিনি একটু সুস্থতা অনুভব করছেন সেক্ষেত্রে বেগম জিয়া ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের বাসায়ও নেয়া হতে পারে।’
এদিকে বেগম জিয়ার চিকিৎসা শেষে লন্ডনে একটি সমাবেশ আয়োজনের পরিকল্পনা করছে স্থানীয় বিএনপি।
যুক্তরাজ্য বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কয়সর এম আহমেদ বলেন, আল্লাহর রহমতে সুস্থ হওয়ার পরে ম্যাডাম এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে নিয়ে যুক্তরাজ্য বিএনপির পক্ষ থেকে প্রবাসী বাংলাদেশিদের নিয়ে একটি সমাবেশ করবো।
লন্ডনে চিকিৎসা শেষে সৌদি আরবে গিয়ে পবিত্র ওমরাহ পালনের কথা রয়েছে বেগম জিয়ার।
মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) রাত ১১টা ৪৫ মিনিটে ঢাকা ছাড়ে খালেদা জিয়াকে বহনকারী বিশেষ বিমান। লন্ডন পৌঁছানোর আগে প্রায় দীর্ঘ আট ঘণ্টার ভ্রমণে দোহায় যাত্রাবিরতি করবেন বিএনপি চেয়ারপারসন।