রাজধানীর খিলক্ষেতে আকাশ পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাসে অগ্নিসংযোগ করেছে দুর্বৃত্তরা। সোমবার রাত ৮টা ৩৭ মিনিটের দিকে এ ঘটনা ঘটে।
ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সের মিডিয়া কর্মকর্তা তালহা বিন জসিম বলেন, খিলক্ষেত বিশ্বরোড এলাকায় আকাশ পরিবহন নামের একটি যাত্রীবাহী বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কুর্মিটোলা স্টেশনের দুটি ইউনিট গিয়ে পুলিশের সহযোগিতায় আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।
এর আগে রাজধানীর মিরপুরে দুটি যাত্রীবাহী বাসে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। একটি দিশারী পরিবহনের বাস, অন্যটি আলিফ পরিবহনের।
সোমবার (৬ নভেম্বর) বেলা ১১টায় মিরপুর-১ নম্বর চিড়িয়াখানা রোডে দিশারী পরিবহনের একটি ও বিকেল ৪টায় সনি সিনেমা হলের সামনে আলিফ পরিবহনের আরেকটি বাসে আগুন দেয়া হয়। এ সময় স্থানীয়রা আগুন নিভিয়ে ফেলেন। তবে এতে তেমন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ।
দুপুর ২টা ৫ মিনিটে গুলিস্তান বঙ্গবন্ধু স্কয়ার হল মার্কেটের সামনে বিকল্প অটো পরিবহনের একটি বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। বাসটিতে কিছু যাত্রী ছিলেন, তারা সবাই নিরাপদে নেমে আসতে পেরেছেন।
ফায়ার সার্ভিস কন্ট্রোল রুমের ডিউটি অফিসার লিমা বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে বাসটির আগুন নেভায়। এ ঘটনায় হতাহতের কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
প্রত্যক্ষদর্শী এক ব্যক্তি জানান, কয়েকজন যুবক বাসের ভেতরে ঢুকে আগুন দেয়। তারাই আবার আগুন-আগুন করতে করতে নেমে যায়। যাত্রীরাও আতঙ্কে হুড়োহুড়ি করে নেমে পড়েন।
বিএনপি-জামায়াতের ডাকা দ্বিতীয় দফায় ৪৮ ঘণ্টার অবরোধের ৩৮ ঘণ্টায় রাজধানীসহ সারা দেশে ২১টি যানবাহনে দুর্বৃত্তরা অগ্নিসংযোগ করেছে।
সোমবার (৬ নভেম্বর) ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মিডিয়া সেল থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গতকাল রোববার ভোর ৪টা থেকে আজ সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত দেশে ২১টি অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে ঢাকা সিটিতে ১২টি, ঢাকা বিভাগে (গাজীপুর, কালিয়াকৈর ও নারায়ণগঞ্জ) ৪টি, চট্টগ্রাম বিভাগে (খাগড়াছড়ি, আনোয়ারা ও পটিয়া) ৪টি, রাজশাহী বিভাগে (বগুড়া) ১টি ঘটনা অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।
এসব ঘটনায় ১৫টি বাস, ২টি ট্রাক, ১টি প্রাইভেট কার, ১টি সিএনজিচালিত অটোরিকশা এবং ১টি লেগুনা পুড়ে যায়। এই ২১টি অগ্নিকাণ্ড নির্বাপণ করতে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ৪১টি ইউনিট এবং ২৪২ জন জনবল কাজ করেন।