শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, ১৯৭১ সালের পরাজিত শক্তি এবং ১৯৭৫ সালের খুনিরা আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে চায়। তবে কোন অপশক্তিকেই বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে দেওয়া হবে না। যেকোনো মূল্যে এদের প্রতিহত করা হবে।
আজ শুক্রবার (১৬ ডিসেম্বর) ঢাকা কলেজে বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। কলেজের শহীদ আ.ন.ম. নজীব উদ্দিন খান খুররম অডিটোরিয়ামে এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের নীল নকশার নির্বাচনের মাধ্যমে ২০০১ সালে ক্ষমতার পরিবর্তন হয়ে গেল৷ এরপর থেকে নির্যাতন নিপীড়ন আর ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট পুরো আওয়ামীলীগ নেতৃত্বকে শেষ করার ষড়যন্ত্র হয়েছে৷ তারা আবারও মাঠে নেমেছে৷ সেই হত্যাচেষ্টাকারীরাই ২০১৩-১৪ সালে অগ্নীসংযোগে হত্যাকারী৷ তবে চাইলেই নির্বাচিত সরকারকে জনবিচ্ছিন্ন হয়ে করা যায় না৷
বিদেশে অর্থ পাচার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিদেশে অনেক অনেক টাকা দিয়ে নিয়োগ করে দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে৷ এসব অপকর্ম যারা করে তাদেরকে ধিক্কার দেওয়া ছাড়া কোন উপায় নেই ৷
তিনি আরও বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বুঝেছিলেন ১৯৪৭ সালের যে স্বাধীনতা সেই স্বাধীনতা বাঙালির জন্য নয়৷ তিনি ৪৭ সালে দেশ ভাগের পরপরই সংগঠন গড়ার কাজ শুরু করলেন৷ কারন মানুষকে, বাঙালীকে সংগঠিত করতে হবে৷ প্রথম তৈরি করলেন যুবলীগ৷ সেটি অবশ্য খুব বেশী দিন টিকেনি৷ এরপর ১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারী প্রতিষ্ঠা করলেন ছাত্রলীগ৷ ৪৮ সালের পর এখন পর্যন্ত বাঙালীর যত অর্জন তার সাথে জড়িয়ে আছে এই ছাত্রলীগ৷ ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন গঠিত হলো আওয়ামীলীগ৷ এবং একটি অসাম্প্রদায়িক সমাজ গড়ে তোলার জন্য ধাপে ধাপে তিনি বাঙালীকে তৈরী করেছেন৷
এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর নেহাল আহমেদ৷ ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মোহাম্মদ ইউসুফ এর সভাপত্বিতে উপাধ্যক্ষ প্রফেসর এ.টি.এম. মইনুল হোসেন, শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক ড.মো.আব্দুল কুদ্দুস সিকদার সহ বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান, শিক্ষক, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা।