সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার জাফলং ও রাতারগুল পর্যটনকেন্দ্র খুলে দেয়া হয়েছে। আবহাওয়া স্বাভাবিক থাকায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
রোববার (২৩ জুন) উপজেলা পর্যটন কমিটি জাফলং পর্যটন কেন্দ্রগুলো চালু করার সিদ্ধান্ত নেয়। এর আগে, গত শুক্র ও শনিবার দুই দফা গোয়াইনঘাটের সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাইদুল ইসলামের নেতৃত্বে উপজেলা প্রশাসনের একটি টিম পর্যটন কেন্দ্রগুলো পরিদর্শন করেন।
এদিকে, সিলেটের নদ-নদীর পানি ধীরে ধীরে কমতে শুরু করেছে। ফলে নগরীর বহু এলাকায় বন্যার পানি সরে যেতে শুরু করেছে। সেসব এলাকার আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে পরিবার নিয়ে অবস্থান নেয়া মানুষেরা বাড়ি ফিরতে শুরু করেছেন।
গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ‘উপজেলার পর্যটন কেন্দ্রগুলো শর্তসাপেক্ষে রোববার দুপুর থেকে খুলে দেয়া হয়েছে। পর্যটন কেন্দ্রে পর্যটক, ট্যুর অপারেটর ও নৌকার মাঝিসহ সবাইকে অবশ্যই নির্দেশনা মেনে চলতে হবে।’ বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হওয়ায় গত ১৭ জুন সিলেটের পর্যটন কেন্দ্রগুলো বন্ধ করে দেয় প্রশাসন।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের সূত্র জানায়, রোববার সন্ধ্যা ৬টায় সুরমা নদীর পানি কানাইঘাট পয়েন্টে ২১ সেন্টিমিটার, কুশিয়ারা নদীর পানি আমলশীদ পয়েন্টে ৪০ সেন্টিমিটার, ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে ৯৯ সেন্টিমিটার ও শেরপুর পয়েন্টে ৮ সেন্টিমিটার বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। কমা অব্যাহত থাকলে আজকের (রোববার) মধ্যেই আরো ২টি পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার নিচে নেমে যাবে।
সিলেট আবহাওয়া অফিসের সহকারী পরিচালক মো. সজিব হোসাইন বলেন, রোববার সিলেটের কোথাও বৃষ্টিপাত হয়নি। আগামী ২৮ জুন থেকে আরও বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। যেহেতু বর্ষা মৌসুম চলমান, আবহাওয়া যে কোনো সময় খারাপ হতে পারে।
সিলেটের জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান বলেন, বন্যাকবলিত এলাকা সমূহে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে ত্রাণ তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। পানি কমা ও পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে পর্যটন স্পটগুলো পর্যটকদের জন্য খুলে দেয়া হচ্ছে।