হুমায়ুন কবির, কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধিঃ
বিএনপি-জামাত হঠকারী করলে পদ্মা নদীতে নিক্ষেপ করা হবে। আগামী জাতীয় নির্বাচনে তালবাহানা ছুটতেই বিএনপি’র সমাবেশের নামে হঠকারী সিদ্ধান্ত। মুক্তিপাগল মানুষরাই প্রতিহত করবে বলে আমি মনে করি। সকল সকল অপশক্তির জলাঞ্জলি দিয়ে বঙ্গবন্ধুর কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে নতুন প্রজন্মের এগিয়ে আসবে। খোকসা পাকহানাদার মুক্ত দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় কুষ্টিয়া -৪ আসনের সংসদ সদস্য ও আওয়ামী যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ব্যরিস্টার সেলিম আলতাফ একথা বলেন।
রবিবার সকালে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চত্বরে উপজেলা নির্বাহি অফিসার ও মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের প্রশাসক রিপন বিশ্বাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নব নির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান ও খোকসা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বাবুল আখতার, থানা ভাঙর অফিসার ইনচার্জ সৈয়দ আশিকুর রহমান।
সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ফজলুল হকের স্বাগত বক্তব্যের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সেলিম রেজা ও খোকসা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মালেক।
১৯৭১ সালের এই দিনে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করে বাংলার দামাল ছেলেরা খোকসা থানা হানাদার মুক্ত করে স্বাধীন করেন। খুলনা বিভাগের মধ্যে খোকসা থানা প্রথম হানাদার মুক্ত হয়। খোকসা উপজেলার বিভিন্ন স্থানে মুক্তিবাহিনী একের পর এক হামলা চালিয়ে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী ও দেশীয় শত্রুদের পরাজিত করে। অবশেষে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী খোকসা থানায় এসে অবস্থান নেয়।
পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী ৩ ডিসেম্বর রাত ১১টার দিকে মুজিববাহিনী কমান্ডার আলাউদ্দিন খান, কে এম মোদ্দাসের আলী, আলহাজ্ব সদর উদ্দিন খান, নুরুল ইসলাম দুলাল, আলহাজ্ব সাইদুর রহমান মন্টু, রোকন উদ্দিন বাচ্চু, তরিকুল ইসলাম তরুর নেতৃত্বে ২৫ জন মুক্তিযোদ্ধা থানা দখলের জন্য চারদিক থেকে আক্রমন করে। রাতভর গুলি বিনিময়ের পর সকালে ১০৫ জন পুলিশ ও রাজাকার সদস্য আত্মসমর্পণ করে।
এ সময় কিছু পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীকে আটক করা হয়। খোকসা থানাসহ সব এলাকা মুজিব বাহিনী ও মুক্তিবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। ১৯৭১ সালে ৪ ডিসেম্বর হানাদার মুক্ত হয় খোকসা থানা।
এদিনে খোকসা থানায় বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করেন খোকসা জানিপুর পাইলট হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক আলতাফ হোসেন।
বক্তারা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের সম্মানপূর্বক বলেন বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাংলার দামাল ছেলেরা বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়ে দিয়ে গেছেন লাল-সবুজের একটি পতাকা দিয়ে গেছেন মানচিত্র। বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আগামী প্রজন্মের জন্য যে সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে তা ইতিহাসের পাতায় এক অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে থাকবে।
আলোচনা সভার আগে সকাল সাড়ে দশটার সময় উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনের বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন। সকাল ১১ টার সময় এমপি সেলিম আলতাফ জর্জ এর নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন থেকে একটি আনন্দ শোভাযাত্রা মিছিল বিভিন্ন বাজার প্রদক্ষিণ করে মুক্তিযোদ্ধা সংসদে এসে শেষ হয়। সন্ধ্যার পরে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।