ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

খোকসা বাসস্ট্যান্ডে হতে যাচ্ছে বহুল প্রতীক্ষিত গোলচত্বর

নাহিদুজ্জামান শয়ন, স্টাফ রিপোর্টার

 

দীর্ঘদিনের অপেক্ষার পর অবশেষে খোকসা বাসস্ট্যান্ডে নির্মিত হচ্ছে গোলচত্বর। স্থানীয় জনগণের আশা, এটি চালু হলে বাসস্ট্যান্ডে সড়ক দুর্ঘটনা অনেকটাই কমে আসবে এবং যাত্রীদের চলাচল অনেক সহজ হবে।

প্রকল্পটি বাস্তবায়নের নেপথ্যে নায়ক হিসেবে কাজ করেছেন খোকসার কৃতিসন্তান এবং বাংলাদেশের বিচার বিভাগের চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বৈজয়ন্ত বিশ্বাস ভিক্টর (বর্তমানে যিনি পাবনা জেলায় কর্মরত)। খোকসার বিভিন্ন উন্নয়নে অবদানের জন্য ইতিমধ্যেই তিনি স্থানীয় জনসাধারণের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয় একজন ব্যক্তিত্ব।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২০২২ সালে খোকসা বাসস্ট্যান্ডে সড়ক দুর্ঘটনায় ভ্যানচালক ইমরানের মৃত্যুর পর এলাকার জনগণের মনে ব্যাপক অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছিল। সেইসময় তৎকালীন এমপি সেলিম আলতাফ জর্জ কর্তৃক নির্মিত অপরিকল্পিত আইল্যান্ড ভাঙার এবং একটি আধুনিক গোলচত্বর নির্মাণের দাবিতে ফুঁসে ওঠে সাধারণ মানুষ। বিষয়টি বৈজয়ন্ত বিশ্বাস ভিক্টরের নজরে আনলে তাৎক্ষণিকভাবে সড়ক ও জনপথ বিভাগের মাধ্যমে আইল্যান্ডটি ভেঙে দেন তিনি। পাশাপাশি সবাইকে আশ্বাস দেন, ভবিষ্যতে এখানে একদিন গোলচত্বর নির্মাণ করা হবে।

অবশেষে ২০২৫-২০২৬ অর্থ বছরে সড়ক, পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় অনুমোদন দেয় কুষ্টিয়া-রাজবাড়ী মহাসড়কের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সংস্কার সহ গোলচত্বর তৈরির। প্রস্তাব প্রেরণ থেকে শুরু করে অনুমোদন এবং বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে সার্বক্ষণিক মনিটরিং করে চলেছেন বৈজয়ন্ত বিশ্বাস ভিক্টর। নির্মাণকাজে রিজিভ পেভমেন্ট (Resive Pavement) পদ্ধতি ব্যবহার করা হবে, যা খুবই শক্তিশালী, টেকসই এবং দীর্ঘমেয়াদী। এ বিষয়ে কুষ্টিয়া সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মুহাম্মদ মনজুরুল করিমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “আগামী বছরের মে মাস নাগাদ গোল চত্বর নির্মাণ সহ মহাসড়কটির কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ঢালাই কাজ শুরু হবে। প্রকল্পটি ইতোমধ্যেই টেন্ডারের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে।”

গোলচত্বরের অনুমোদন প্রকাশ পাওয়ার পর বিষয়টি খোকসাতে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নেটিজেনরা বৈজয়ন্ত বিশ্বাস ভিক্টরের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। খোকসার খেটে খাওয়া মানুষ ও সুশীল সমাজ মনে করে, নিজের পদ এবং অবস্থানকে কীভাবে জনগণের কল্যাণে ব্যবহার করতে হয় তার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে সক্ষম হয়েছেন বৈজয়ন্ত বিশ্বাস ভিক্টর

ট্যাগ :

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপডেটের সময় : ১০:০৮:৫৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৫
৫০৮ Time View

খোকসা বাসস্ট্যান্ডে হতে যাচ্ছে বহুল প্রতীক্ষিত গোলচত্বর

আপডেটের সময় : ১০:০৮:৫৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৫

 

দীর্ঘদিনের অপেক্ষার পর অবশেষে খোকসা বাসস্ট্যান্ডে নির্মিত হচ্ছে গোলচত্বর। স্থানীয় জনগণের আশা, এটি চালু হলে বাসস্ট্যান্ডে সড়ক দুর্ঘটনা অনেকটাই কমে আসবে এবং যাত্রীদের চলাচল অনেক সহজ হবে।

প্রকল্পটি বাস্তবায়নের নেপথ্যে নায়ক হিসেবে কাজ করেছেন খোকসার কৃতিসন্তান এবং বাংলাদেশের বিচার বিভাগের চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বৈজয়ন্ত বিশ্বাস ভিক্টর (বর্তমানে যিনি পাবনা জেলায় কর্মরত)। খোকসার বিভিন্ন উন্নয়নে অবদানের জন্য ইতিমধ্যেই তিনি স্থানীয় জনসাধারণের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয় একজন ব্যক্তিত্ব।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২০২২ সালে খোকসা বাসস্ট্যান্ডে সড়ক দুর্ঘটনায় ভ্যানচালক ইমরানের মৃত্যুর পর এলাকার জনগণের মনে ব্যাপক অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছিল। সেইসময় তৎকালীন এমপি সেলিম আলতাফ জর্জ কর্তৃক নির্মিত অপরিকল্পিত আইল্যান্ড ভাঙার এবং একটি আধুনিক গোলচত্বর নির্মাণের দাবিতে ফুঁসে ওঠে সাধারণ মানুষ। বিষয়টি বৈজয়ন্ত বিশ্বাস ভিক্টরের নজরে আনলে তাৎক্ষণিকভাবে সড়ক ও জনপথ বিভাগের মাধ্যমে আইল্যান্ডটি ভেঙে দেন তিনি। পাশাপাশি সবাইকে আশ্বাস দেন, ভবিষ্যতে এখানে একদিন গোলচত্বর নির্মাণ করা হবে।

অবশেষে ২০২৫-২০২৬ অর্থ বছরে সড়ক, পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় অনুমোদন দেয় কুষ্টিয়া-রাজবাড়ী মহাসড়কের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সংস্কার সহ গোলচত্বর তৈরির। প্রস্তাব প্রেরণ থেকে শুরু করে অনুমোদন এবং বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে সার্বক্ষণিক মনিটরিং করে চলেছেন বৈজয়ন্ত বিশ্বাস ভিক্টর। নির্মাণকাজে রিজিভ পেভমেন্ট (Resive Pavement) পদ্ধতি ব্যবহার করা হবে, যা খুবই শক্তিশালী, টেকসই এবং দীর্ঘমেয়াদী। এ বিষয়ে কুষ্টিয়া সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মুহাম্মদ মনজুরুল করিমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “আগামী বছরের মে মাস নাগাদ গোল চত্বর নির্মাণ সহ মহাসড়কটির কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ঢালাই কাজ শুরু হবে। প্রকল্পটি ইতোমধ্যেই টেন্ডারের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে।”

গোলচত্বরের অনুমোদন প্রকাশ পাওয়ার পর বিষয়টি খোকসাতে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নেটিজেনরা বৈজয়ন্ত বিশ্বাস ভিক্টরের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। খোকসার খেটে খাওয়া মানুষ ও সুশীল সমাজ মনে করে, নিজের পদ এবং অবস্থানকে কীভাবে জনগণের কল্যাণে ব্যবহার করতে হয় তার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে সক্ষম হয়েছেন বৈজয়ন্ত বিশ্বাস ভিক্টর