ঢাকা , রবিবার, ০২ নভেম্বর ২০২৫, ১৮ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও জনগণের অধিকার ফিরিয়ে আনতে বিএনপি ঘোষিত ৩১ দফা বাস্তবায়ন অপরিহার্য: মিয়া নূরউদ্দিন আহাম্মেদ অপু নির্বাচনের তফসিল কবে, জানালেন ইসি আনোয়ারুল একই দিনে জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট করার চিন্তা করছে সরকার জামগড়া আর্মি ক্যাম্পের রাতভর অভিযানে অস্ত্র ও মাদকসহ গ্রেপ্তার তিনজন রাঙ্গামাটি রাজস্থলী উপজেলা যুবদলের ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠিত ন্যায়বিচার সবার জন্য, তবু গ্রামীণ দরিদ্ররা এখনো বঞ্চিত বিএনপি পরিবারকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে এটাই আমাদের নেতার নির্দেশ: এম এ মালিক ডিজিটাল কোর্ট ও অনলাইন বিচার: স্বচ্ছতার নতুন দিগন্ত না নতুন সংকট? কাপ্তাইয়ে পল্টন ট্র্যাজেডি দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত বাংলাদেশে বৃহৎ নির্বাচন পর্যবেক্ষক দল পাঠাবে ইইউ: রাষ্ট্রদূত মিলার

গণঅধিকার পরিষদের নেতাকে বেধড়ক পেটানো লাল টি-শার্ট পরা ব্যক্তি কে?

সাংবাদিক

এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) রমনা বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মীর আসাদুজ্জামান দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘ঘটনার সময় লাল টি-শার্ট পরে গণ অধিকার নেতার ওপর হামলা করা ব্যক্তিকে খুঁজছে পুলিশ। খুব দ্রুত তাকে শনাক্ত করতে আমাদের কয়েকটি টিম কাজ করছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘ভিডিওতে দেখা লাঠি হাতে থাকা ওই ব্যক্তিকে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা আটক করলেও তাৎক্ষণিক বিষয়টি না জানায় তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।’

আওয়ামী লীগবিরোধী মিছিল নিয়ে যাওয়ার সময় গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের ওপর জাপার নেতাকর্মীরা হামলা চালিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন দলটির নেতারা। এ ঘটনার প্রতিবাদে শুক্রবার রাত ৮টার কিছুক্ষণ পর কাকরাইল এলাকায় মশাল মিছিল বের করে গণঅধিকার পরিষদ। এ সময় জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা লাঠিসোঁটা নিয়ে মিছিলে হামলার চেষ্টা চালালে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। বিক্ষোভকারীরাও তখন মিছিল থেকে ইটপাটকেল ছুড়ে প্রতিরোধ করে এবং পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে জাপার কার্যালয় চত্বরে প্রবেশ করে।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা লাঠিচার্জ করেন। সংঘর্ষের একাধিক ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। একটি ভিডিওতে দেখা যায়, সেনাবাহিনী ও পুলিশের একাধিক সদস্য গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরের ওপর লাঠিচার্জ করছেন।

এ ঘটনারই একপর্যায়ে লাল টি-শার্ট পরা এক ব্যক্তি ‘জুলাই ভরে দেব’ বলে চিৎকার করে নুরকে বেধড়ক মারধর করে। পরবর্তী একটি ভিডিওতে দেখা যায়, লাঠি হাতে থাকা সেই ব্যক্তিকে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা আটক করলেও পরে তাকে ছেড়ে দেন।

মারধরে গুরুতর আহত হন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরসহ সংগঠনটির বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী এবং একজন পুলিশ সদস্য। আহতদের মধ্যে রয়েছেন—গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান (৩২), হাসান তারেক (২৮), ফারজানা কিবরিয়া (৩০), মইনুল ইসলাম (৩৫), মেহবুবা ইসলাম (৩০), আবু বক্কর (৩০), তারেক আজাদ (২৫) এবং পুলিশ ইন্সপেক্টর আনিছুর রহমান (৪২)। আহতদের শুক্রবার রাতেই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘ভিডিও ফুটেজে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে, প্রথমে পুলিশ ও সেনাবাহিনী আমাদের ওপর হামলা করে। সেনাবাহিনীর একজন সদস্য নুরের বুকে লাঠি দিয়ে গুতা দেয়। এরপর নুরুল হক নুর যখন মাটিতে পড়ে যান, তখন একটি সময় লাল টি-শার্ট পরা ওই ব্যক্তি এসে বেধড়ক মারধর শুরু করে। এ ধরনের সংঘর্ষের ঘটনাগুলোতে সাধারণত সিভিল পোশাকে ডিবি অথবা গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা থাকে। এখন ওই ব্যক্তিটি কে—এটা চিহ্নিত করা পুলিশের ও সেনাবাহিনীর দায়িত্ব।’

তিনি আরও বলেন, ‘যারা ভিপি নুরসহ আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালিয়েছে, তাদের প্রত্যেককে আইনের আওতায় আনতে হবে। এটা আমাদের দাবি। ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত হওয়া জরুরি।’

 

সূত্র: বার্তা বাজার

ট্যাগ :

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপডেটের সময় : ০৬:৩৭:২২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩০ অগাস্ট ২০২৫
৭৩৪ Time View

গণঅধিকার পরিষদের নেতাকে বেধড়ক পেটানো লাল টি-শার্ট পরা ব্যক্তি কে?

আপডেটের সময় : ০৬:৩৭:২২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩০ অগাস্ট ২০২৫

এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) রমনা বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মীর আসাদুজ্জামান দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘ঘটনার সময় লাল টি-শার্ট পরে গণ অধিকার নেতার ওপর হামলা করা ব্যক্তিকে খুঁজছে পুলিশ। খুব দ্রুত তাকে শনাক্ত করতে আমাদের কয়েকটি টিম কাজ করছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘ভিডিওতে দেখা লাঠি হাতে থাকা ওই ব্যক্তিকে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা আটক করলেও তাৎক্ষণিক বিষয়টি না জানায় তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।’

আওয়ামী লীগবিরোধী মিছিল নিয়ে যাওয়ার সময় গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের ওপর জাপার নেতাকর্মীরা হামলা চালিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন দলটির নেতারা। এ ঘটনার প্রতিবাদে শুক্রবার রাত ৮টার কিছুক্ষণ পর কাকরাইল এলাকায় মশাল মিছিল বের করে গণঅধিকার পরিষদ। এ সময় জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা লাঠিসোঁটা নিয়ে মিছিলে হামলার চেষ্টা চালালে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। বিক্ষোভকারীরাও তখন মিছিল থেকে ইটপাটকেল ছুড়ে প্রতিরোধ করে এবং পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে জাপার কার্যালয় চত্বরে প্রবেশ করে।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা লাঠিচার্জ করেন। সংঘর্ষের একাধিক ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। একটি ভিডিওতে দেখা যায়, সেনাবাহিনী ও পুলিশের একাধিক সদস্য গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরের ওপর লাঠিচার্জ করছেন।

এ ঘটনারই একপর্যায়ে লাল টি-শার্ট পরা এক ব্যক্তি ‘জুলাই ভরে দেব’ বলে চিৎকার করে নুরকে বেধড়ক মারধর করে। পরবর্তী একটি ভিডিওতে দেখা যায়, লাঠি হাতে থাকা সেই ব্যক্তিকে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা আটক করলেও পরে তাকে ছেড়ে দেন।

মারধরে গুরুতর আহত হন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরসহ সংগঠনটির বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী এবং একজন পুলিশ সদস্য। আহতদের মধ্যে রয়েছেন—গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান (৩২), হাসান তারেক (২৮), ফারজানা কিবরিয়া (৩০), মইনুল ইসলাম (৩৫), মেহবুবা ইসলাম (৩০), আবু বক্কর (৩০), তারেক আজাদ (২৫) এবং পুলিশ ইন্সপেক্টর আনিছুর রহমান (৪২)। আহতদের শুক্রবার রাতেই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘ভিডিও ফুটেজে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে, প্রথমে পুলিশ ও সেনাবাহিনী আমাদের ওপর হামলা করে। সেনাবাহিনীর একজন সদস্য নুরের বুকে লাঠি দিয়ে গুতা দেয়। এরপর নুরুল হক নুর যখন মাটিতে পড়ে যান, তখন একটি সময় লাল টি-শার্ট পরা ওই ব্যক্তি এসে বেধড়ক মারধর শুরু করে। এ ধরনের সংঘর্ষের ঘটনাগুলোতে সাধারণত সিভিল পোশাকে ডিবি অথবা গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা থাকে। এখন ওই ব্যক্তিটি কে—এটা চিহ্নিত করা পুলিশের ও সেনাবাহিনীর দায়িত্ব।’

তিনি আরও বলেন, ‘যারা ভিপি নুরসহ আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালিয়েছে, তাদের প্রত্যেককে আইনের আওতায় আনতে হবে। এটা আমাদের দাবি। ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত হওয়া জরুরি।’

 

সূত্র: বার্তা বাজার