গণমাধ্যমকর্মী আইনটি সাংবাদিকদের সুবিধার জন্যই করা হয়েছে উল্লেখ করে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, কিন্তু এটা নিয়ে যেহেতু আপত্তি আছে, সে জন্য এটা সংশোধনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সুস্থ সাংবাদিকতা বন্ধ করার জন্য এই সরকার কোনও আইন করেনি, করবেও না।
মঙ্গলবার (৩১ মে) সচিবালয়ে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ) আয়োজিত অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিএসআরএফ এর সভাপতি তপন বিশ্বাস। সঞ্চালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হক।
আইনমন্ত্রী আনিসুল বলেন, পৃথিবীর অনেক দেশের সংবিধানে যেটা জায়গা পায়নি, সেই গণমাধ্যমের স্বাধীনতার বিষয়টি বাংলাদেশের সংবিধানে আছে। বাংলাদেশে এমন কোনও আইন হবে না, যেটা স্বাধীন সাংবাদিকতায় বাধা হবে।
তিনি বলেন, সমাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যবহার করে সমাজকে ভাগ কারার চেষ্টা করা হচ্ছে। এটা বন্ধ করার জন্যই আইন করা হচ্ছে।
আইনমন্ত্রী বলেন, সাংবাদিকতা না করে যারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে নানা ভুল তথ্য দেয়, তাদের চিহ্নিত করতে কিছু আইন করার প্রয়োজন আছে। সরকার সেটাই করছে।
তিনি বলেন, স্বাধীন সাংবাদিকতায় বাধা দিতে ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট করা হয়নি। যারা ডিজিটাল মাধ্যমকে অপব্যবহার করে নানা কাজ করার চেষ্টা করে, সেটা মোকাবিলা করতেই সরকার ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট করেছে।
আনিসুল হক বলেন, বঙ্গবন্ধুকে কেউ অপমান আর অবমূল্যায়ন করার চেষ্টা করলে আওয়ামী লীগ সেটা দাঁড়িয়ে দেখবে না। এ জন্য একটা আইন থাকা উচিত। ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট না করলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ভুল ব্যবহারের অভয়ারণ্য হবে দেশ। তবে সিকিউরিটি অ্যাক্টের যে কয়েকটি জায়গায় অসামঞ্জস্য আছে বলে মনে করা হয়, সেটার বিষয়ে সরকার সচেতন। এসব ধারার যাতে অপব্যবহার করা না হয়, সেটা নিয়ে প্রয়োজনে সরকার কাজ করবে। প্রয়োজনে আইনটি সংশোধন করবে।