ঢাকা , রবিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৩ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
ভুয়া জ্বালানির খরচ দেখিয়ে কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ, নগর ভবনে দুদকের অভিযান প্রখ্যাত বুদ্ধিজীবী বদরুদ্দীন উমর আর নেই নির্বাচনে দায়িত্ব পালনে পুলিশের বিশেষ প্রশিক্ষণ শুরু আজ ইউনুস সরকার ৩৩ মার্কস পেয়েও পাশ করতে পারে নাই- রুহিন হোসেন প্রিন্স চট্টগ্রামের অভিজাত হোটেল রেডিসন ব্লু বে ভিউ–তে রঙ, সুর আর সৃষ্টিশীলতার এক অনন্য সম্মেলন অনুষ্ঠিত কয়েক সপ্তাহের মধ্যে দেশে ফিরবেন তারেক রহমান- ডা. জাহিদ কাপ্তাইয়ে জেন্ডার ভিত্তিক সহিংসতা ও ভিক্টিম সাপোর্ট সেন্টারের পরিষেবা বিষয়ক জনসচেতনতা কার্যক্রম অনুষ্ঠিত খাগড়াছড়িতে নানা আয়োজনে ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) জশনে জুলুছ উদযাপন ঠাকুরগাঁওয়ে সাংবাদিকের বিরুদ্ধ মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন, সড়ক অবরোধ সুজা মিয়া পীরসাহেবের স্মৃতি বিজরীত জনপদ রংপুর-০১ আসনে দাঁড়িপাল্লাকে বিজয়ের জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা চালাতে হবে- অধ্যাপক গোলাম রব্বানী

‘গণহত্যা করেও অনুশোচনা নেই হাসিনার, করছে দেশ ধ্বংসের ষড়যন্ত্র’

সাংবাদিক

গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতাকর্মীদের ওপর আওয়ামী লীগের ন্যক্কারজনক হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সোহেল তাজ। তিনি বলেছেন, এই হামলার উদ্দেশ্য ছিল এনসিপি নেতাদের হত্যা করা এবং হামলার নির্দেশদাতা ছিলেন স্বৈরশাসক শেখ হাসিনা।

বৃহস্পতিবার দুপুরে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে পৃথক পৃথক স্ট্যাটাসে সোহেল তাজ এসব কথা বলেন।

সাবেক এই স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমি মনে করি ১৬ জুলাই গোপালগঞ্জে যে হামলা হয়েছে তার মূল উদ্দেশ্য ছিল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং জুলাই-অগাস্ট গণঅভুত্থানের (নাহিদ, সার্জিস, হাসনাত, জারা) নেতাদের হত্যার একটি হীন চেষ্টা। আমি আশ্চর্য হবো না যদি ডেভিল রানী নিজেই এর নির্দেশ দিয়ে থাকেন।

খুনি হাসিনার সমালোচনা করে তিনি আরও বলেন, আত্মোপলব্ধি, আত্মসমালোচনা এবং অনুশোচনা তো দূরে থাক- হত্যা, গুম, খুন, গণহত্যা, নির্যাতন-নিপীড়ন, গণতন্ত্র ধ্বংস করে, দুর্নীতি করে লাখ লাখ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করে দেশটাকে শেষ করে ছাত্র-জনতার ঝাটাপেটা খেয়ে পালিয়ে গিয়ে এখন দেশ ধ্বংসের ষড়যন্ত্র করছে। সারা দেশে গোপালগঞ্জের মতো সন্ত্রাসী কায়দায় কার্যকলাপ চালানোর নির্দেশ দিচ্ছে।

প্রসঙ্গত, জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপির পূর্বনির্ধারিত ‘মার্চ টু গোপালগঞ্জ’ কর্মসূচিতে হামলা চালিয়েছে কার্যত নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ। বুধবার দুপুরের পর অনুষ্ঠানস্থল ঘিরে পালটাপালটি ধাওয়া শুরু হলেও পরে তা রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে রূপ নেয়। এ ঘটনায় অন্তত চারজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া পুলিশ, সাংবাদিক, সাধারণ পথচারীসহ আহতের সংখ্যা কয়েকশ। ঘটনার পর জেলাজুড়ে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে এদিন রাত ৮টা থেকে আজ সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত কারফিউ জারি করে স্থানীয় প্রশাসন। হামলাকারীদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতারের আলটিমেটাম দিয়েছে এনসিপি।

ট্যাগ :

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপডেটের সময় : ১১:৫৯:১৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫
৬০১ Time View

‘গণহত্যা করেও অনুশোচনা নেই হাসিনার, করছে দেশ ধ্বংসের ষড়যন্ত্র’

আপডেটের সময় : ১১:৫৯:১৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫

গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতাকর্মীদের ওপর আওয়ামী লীগের ন্যক্কারজনক হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সোহেল তাজ। তিনি বলেছেন, এই হামলার উদ্দেশ্য ছিল এনসিপি নেতাদের হত্যা করা এবং হামলার নির্দেশদাতা ছিলেন স্বৈরশাসক শেখ হাসিনা।

বৃহস্পতিবার দুপুরে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে পৃথক পৃথক স্ট্যাটাসে সোহেল তাজ এসব কথা বলেন।

সাবেক এই স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমি মনে করি ১৬ জুলাই গোপালগঞ্জে যে হামলা হয়েছে তার মূল উদ্দেশ্য ছিল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং জুলাই-অগাস্ট গণঅভুত্থানের (নাহিদ, সার্জিস, হাসনাত, জারা) নেতাদের হত্যার একটি হীন চেষ্টা। আমি আশ্চর্য হবো না যদি ডেভিল রানী নিজেই এর নির্দেশ দিয়ে থাকেন।

খুনি হাসিনার সমালোচনা করে তিনি আরও বলেন, আত্মোপলব্ধি, আত্মসমালোচনা এবং অনুশোচনা তো দূরে থাক- হত্যা, গুম, খুন, গণহত্যা, নির্যাতন-নিপীড়ন, গণতন্ত্র ধ্বংস করে, দুর্নীতি করে লাখ লাখ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করে দেশটাকে শেষ করে ছাত্র-জনতার ঝাটাপেটা খেয়ে পালিয়ে গিয়ে এখন দেশ ধ্বংসের ষড়যন্ত্র করছে। সারা দেশে গোপালগঞ্জের মতো সন্ত্রাসী কায়দায় কার্যকলাপ চালানোর নির্দেশ দিচ্ছে।

প্রসঙ্গত, জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপির পূর্বনির্ধারিত ‘মার্চ টু গোপালগঞ্জ’ কর্মসূচিতে হামলা চালিয়েছে কার্যত নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ। বুধবার দুপুরের পর অনুষ্ঠানস্থল ঘিরে পালটাপালটি ধাওয়া শুরু হলেও পরে তা রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে রূপ নেয়। এ ঘটনায় অন্তত চারজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া পুলিশ, সাংবাদিক, সাধারণ পথচারীসহ আহতের সংখ্যা কয়েকশ। ঘটনার পর জেলাজুড়ে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে এদিন রাত ৮টা থেকে আজ সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত কারফিউ জারি করে স্থানীয় প্রশাসন। হামলাকারীদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতারের আলটিমেটাম দিয়েছে এনসিপি।