মনিরুল ইসলাম,মেহেরপুর প্রতিনিধি- সবে মাত্র বয়স ১০ বছর, অতি অল্প বয়সে প্রেম, তারপর বিয়ে,এখন তার বয়স ১৩ বছর। অল্প বয়সে বিয়ের কারণে শরীরে তার নানা ধরণের অসুখে বাসা বেধেছিল। দুই বছর আগেও হাত পা পড়ে গিয়েছিল খাদিজার। গ্রামের সবাই জানে জ্বীন পরীর আছর আছে তার শরীরে। এমন কথা শোনালেন খাদিজা খাতুনের মা শ্যামলী খাতুন।
গাংনী উপজেলার তেরাইল বাগানপাড়া এলাকার খাদিজা খাতুন(১৩) নামের এক গৃহবধু গলাই ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে।খাদিজা খাতুন তেরাইল গ্রামের কৃষক কামরান ফারাজীর স্ত্রী ও সৌদী প্রবাসী আবুল কালামের মেয়ে।
আজ শনিবার (১৬ জুলাই) দুপুরের দিকে খাদিজা খাতুন তার নিজ ঘরের আড়ার সাথে গলাই ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে।
খাদিজা খাতুনের মা শ্যামলী খাতুন বলেন, আমার মেয়ে পেটের পিড়ায় ভূগছিল। তাকে বিভিন্ন সময়ে স্থানীয় ডাক্তার ও কবিরাজের কাছেও চিকিৎসা করা হচ্ছিল। তার শরীরে জ্বীনের আছড় আছে। কি কারণে সে আত্মহত্যা করেছে আমরা পরিবারের পক্ষ থেকে কেউ বলতে পারছিনা।
খাদিজার স্বামী কামরান ফারাজী বলেন, আমরা প্রেম করে বিয়ে করেছি। খাদিজা বয়সে ছোট তাই পরিবারের সবাই তাকে খুব ভালবাসে। সকালে আমি খেয়ে মাঠে গেছি। দুপুরের দিকে তার আত্মহত্যার খবর পাই।
গাংনী থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাক বলেন, খবর পেয়ে পুলিশের একটি টীম ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এ্যানেসথেসিয়া কনসালটেন্ট ডা. মশিউর রহমান বলেন, অল্প বয়সে মেয়েদের বিয়ে হলে সামাজিক ও মানুষিক চাপ থেকে আত্মহত্যার প্রবণতা আসেেত পারে। অল্প বয়সে বিয়ে হলে স্বামীর সেস্কচুয়্যাল বা অন্যান্য মানষিক চাপের কারণে ও সংসারের বিভিন্ন চাপেও আত্মহত্যার প্রবণতা আসতে পারে। কোনো কোনো সময় পরিবারের লোকজনের কটুক্তির কারণেও আত্মহত্যার প্রবণতা আসতে পারে। এজন্য পরিবারের সবাইকেই সচেতন হতে হবে। এবং বাল্য বিবাহ যাতে করে না হয় সেব্যাপারে সবাইকে সচেতন হতে হবে।