গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর বলেছেন, আমরা আশা করছি ৫০ শতাংশের মতো ভোট পড়েছে। তবে মোট হিসাব করলে সঠিক তথ্য পাওয়া যাবে।
বৃহস্পতিবার (২৫ মে) আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
আপনাদের দৃষ্টিতে ভোট কেমন হয়েছে, ‘এমন প্রশ্নের জবাবে ইসি আলমগীর বলেন, ‘আপনারাই আগে বলুন গাজীপুর সিটি নির্বাচন কেমন হয়েছে। আমাদের পক্ষ থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তা, পর্যবেক্ষক টিম ও গণমাধ্যমের কাছ থেকে যে খবর পেয়েছি, সেটি হচ্ছে গাজীপুর সিটি নির্বাচন অত্যন্ত সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছে। যেসব প্রার্থীরা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছেন তারা সবাই বলেছেন নির্বাচন ব্যবস্থায় তারা অত্যন্ত সন্তুষ্ট। নির্বাচনে যে ফলই আসুক না কেন তারা সবাই মেনে নেবেন।’
ভোটারদের উপস্থিতি নিয়ে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনী আইনে আছে যে, নির্বাচনের শেষ সময় পর্যন্ত যদি ভোটার উপস্থিতি থাকে, তাহলে ভোটারের ভোট না নেওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। ব্যালটের ক্ষেত্রে যে নিয়ম ইভিএমের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম। আমরা আশা করছি ৫০ শতাংশের মতো ভোট পড়েছে। তবে মোট হিসাব করলে সঠিক তথ্যটা পাওয়া যাবে।’
সিসিটিভিতে কোনও অনিয়ম ধরা পড়েছে কি না, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘ভোটাররা অনেক সময় লাইন ধরে দাঁড়িয়ে থাকা ও অনেকের ভোট আগে নেওয়া এ ধরনের কিছু জিনিস আমাদের কাছে ধরা পড়েছে। সেগুলোর বিষয়ে আমরা তাৎক্ষণিকভাবে ফোন দিয়ে ব্যবস্থা নিয়েছি। এছাড়া দুটি কেন্দ্রে আমরা দেখেছিলাম, এজেন্ট ভোটারদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করেছিলেন। তখন আমরা তাদের ফোন দিয়ে ও পুলিশকে খবর দিয়ে কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছি।’
‘আমাদের ও পুলিশের নজরে আর কোনও ঘটনা আসেনি। প্রায় সাড়ে চার হাজার সিসিটিভিতে ভোট মনিটরিং করা হয়েছে। এগুলো আবার একসঙ্গে দেখা যায়নি। এগুলো পর্যায়ক্রমে দেখতে হয়েছে। একবারে তিন থেকে ৪০০ সিসিটিভি দেখা গেছে। এজন্য কিছু ঘটনা আমাদের নজরে নাও পড়তে পারে। সিসিটিভির এই উদ্যোগটাই আমাদের সফলতা। সিসিটিভিতে যেগুলো ধরা পড়েছে সেগুলোর বিরুদ্ধে আমরা তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিয়েছি।’
কেন্দ্রে জায়েদা খাতুনের এজেন্ট ছিল না, সাংবাদিকরা এ প্রসঙ্গ তুললে এই ইসি বলেন, ‘গাজীপুরে অবস্থানরত গণমাধ্যম কর্মীদের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। তারাও আমাদের বলেছে, এরকম কোনও কিছু হয়নি। ইসির আইন অনুযায়ী আগামী নির্বাচন হবে। এর সঙ্গে বিদেশিদের কোনও মন্তব্য আমরা নেব না। এটা রাষ্ট্র টু রাষ্ট্র দেখবে। গাজীপুর সিটি নির্বাচন নিয়ে আমরা অত্যন্ত সন্তুষ্ট, আপনারাও সন্তুষ্ট এবং আপনাদের প্রতিনিধিরাও সন্তুষ্ট। একইসঙ্গে ভোটাররা সন্তুষ্ট ও প্রার্থীরাও সন্তুষ্ট। এটা আপনাদের গণমাধ্যমের মাধ্যমেই প্রকাশ করেছেন।’