রাম বসাক, শাহজাদপুর, সিরাজগঞ্জ
২৩ সেপ্টেম্বর (শুক্রবার) রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সুখরঞ্জন সমাদ্দার ছাত্র-শিক্ষক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে কুষ্টিয়া জেলা ছাত্র কল্যাণ সমিতি কর্তৃক আয়োজিত “কুষ্টিয়া ছাত্র কল্যাণ সমিতির পুনর্মিলনী ২০২২” অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ শাহ্ আজম-কে কুষ্টিয়া জেলা ছাত্র কল্যাণ সমিতির পক্ষ থেকে গুণিজন সম্মাননা প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানে সন্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ শাহ্ আজম এই সম্মাননায় ভূষিত করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। রবি উপাচার্য বলেন, পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ, আতিথেয়তা, সৌহার্দ ও সম্প্রীতি বাঙালি সংস্কৃতির অন্যতম বৈশিষ্ট্য। বাঙালি সংস্কৃতির এসব বৈশিষ্ট্য ও মূল্যবোধকে যেন দীর্ঘস্থায়ী করা যায় এবং রক্ষা করা যায়, সে জন্য তরুণ প্রজন্মকে তিনি আহ্বান জানান। সেইসাথে তিনি মনে করেন বাঙালি সংস্কৃতির বিশিষ্টতা হচ্ছে কৃষ্টি ও আচারের বৈচিত্র্য। এক এক অঞ্চলে এক এক রকম লৌকিকতা এবং আচার-আচরণ রয়েছে। সব অঞ্চলের লৌকিকতা ও আচার-আচরণের সম্মিলনে বাঙালি সংস্কৃতি তৈরি হয়েছে।
রবি উপাচার্য আরও বলেন, এই আঞ্চলিক সংগঠনগুলোর একটি দায়িত্ব হচ্ছে, আঞ্চলিক সংস্কৃতিকে টিকিয়ে রাখা এবং সেটিকে চর্চা করা। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছেও যদি এই সংস্কৃতি আদৃত হয়, তাহলে বাঙালি সংস্কৃতির মূল স্বাদ, সুর ও আবেদন অক্ষুণ্ন থাকবে এবং বাঙালি সংস্কৃতি আমাদেরকে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করবে। আমরা এই সংস্কৃতি চর্চার মাধ্যমে জীবন গঠন করবো, আমাদের শিক্ষাকে শাণিত করব এবং শিক্ষা আন্দোলনে যুক্ত হবো।
অনুষ্ঠানে সন্মানিত অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ছাদেকুল আরেফিন, স্বাগত বক্তব্য রাখেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কুষ্টিয়া জেলা ছাত্র কল্যাণ সমিতির সভাপতি চন্দন দত্ত। উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কুষ্টিয়া ‘ছাত্র কল্যাণ সমিতির পুনর্মিলনী ২০২২’ উদযাপন কমিটির সদস্য-সচিব অধ্যাপক ড. মো আরিফুর রহমান, অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন কুষ্টিয়া জেলা ছাত্র কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক ফজলে রাব্বি আকাশ, সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কুষ্টিয়া ছাত্র কল্যাণ সমিতির পুনর্মিলনী ২০২২ উদযাপন কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ আমীরুল ইসলাম।