গোপালগঞ্জে চলতি বোরো মৌসুমে ৫ লাখ ২০ হাজার টন বোরো ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে জেলার ৫ উপজেলার ৮১ হাজার ৩৮০ হেক্টর জমিতে।
গোপালগঞ্জ জেলায় বোরো ধান আবাদ প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে। তবে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বলছে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে বোরো আবাদ হবে। এ কারণে লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি বোরো ধান উৎপাদিত হবে বলে আশা করছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের গোপালগঞ্জ খামারবাড়ির উপ-পরিচালক কৃষিবিদ আ: কাদের সরদার এসব তথ্য জানিয়ে বলেন, চলতি বোরো মৌসুমে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলায় ২০ হাজার ৯৩৮ হেক্টরে, মুকসুদপুর উপজেলায় ১৩ হাজার ৩০৬ হেক্টরে, কাশিয়ানী উপজেলায় ১১ হাজার ৭৩৬ হেক্টরে, কোটালীপাড়া উপজেলায় ২৬ হাজার ৪৯৯ ও টুঙ্গিপাড়া উপজেলায় ৮ হাজার ৯০১ হেক্টরে বোরো ধান আবাদের লক্ষ্য মাত্রা ধরা হয়েছে।
এখান থেকে ৫ লাখ ২০ হাজার টন বোরো ধান উৎপাদনের আশা করা হচ্ছে বলে জানান ওই কর্মকর্তা।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের গোপালগঞ্জ খামারবাড়ির অতিরিক্তি উপ-পরিচালক সঞ্জয় কুমার কুন্ডু বলেন, এ জেলায় ধানের উৎপাদন ও আবাদ বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকার ৭০ হাজার কৃষককে বিনামূল্যে প্রণোদনার বীজ-সার দিয়েছে। এরমধ্যে ৪০ হাজার কৃষককে ৮০ কেজি হাইব্রিড বোরো ধানের বীজ বিতরণ করা হয়েছে গত নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে।এছাড়া ৩০ হাজার কৃষককে উচ্চ ফলনশীল (ইনব্রিড) বোরো ধানের বীজ, ১০ কেজি করে এমওপি এবং ১০ কেজি করে ডিএপি সার দেয়া হয়েছে।
তিন আরও বলেন, প্রণোদনার এসব বীজ-সার দিয়ে কৃষক ৭০ হাজার বিঘা জমি আবাদ করেছে। তাই এ বছর জেলায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বোরো ধানের আবাদ বেশি হবে। এ কারণে লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি বোরো ধান উৎপাদিত হবে বলে আমরা প্রত্যাশা করছি।