এক বছরের মধ্যে মুদ্রার এপিঠ ওপিঠ দেখে ফেলেছেন অলরাউন্ডার নাসির হোসেন। গতবারের বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) ঢাকা ডমিনেটর্সের হয়ে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখিয়েছিলেন নাসির হোসেন। অথচ বিপিএলের আসন্ন আসরের ড্রাফটেই নেই এই অলরাউন্ডারের নাম।
তবে ঠিক কেন নাসিরের নাম নেই, সেটাও প্রায় সকলেরই জানা। আবুধাবির টি-টেন লিগে অংশ নিতে গিয়ে দূর্নীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছেন একসময় বাংলাদেশ দলের নিয়মিত এই মুখ। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি ৭৫০ ডলারের বেশি অর্থমূল্যের উপহার নিয়েছেন এবং তা আমিরাত বোর্ডের দুর্নীতি দমন কর্মকর্তাকে জানাতে ব্যর্থ হয়েছেন। এই অভিযোগের কারণে বিপিএল তো বটেই ঘরোয়া ক্রিকেটের কোথাও দেখা যাবেনা নাসিরকে।
নাসিরের নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন জাতীয় দলের প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু। তিনি বলেন, আমরা তাকে বিপিএল ড্রাফটের তালিকায় রাখিনি। আইসিসি ক্লিয়ার না করা পর্যন্ত বাংলাদেশের কোনো ঘরোয়া টুর্নামেন্টে সে খেলতে পারবে না।
২০২১ সালে সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবি টি-টেন লিগের ম্যাচে দুর্নীতির চেষ্টা করা হয়েছিল বলে আমিরাত ক্রিকেট বোর্ডের (ইসিবি) পক্ষ থেকে অভিযোগ গঠন করে আইসিসি। তারা নাসিরসহ মোট ৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছে।
দেশের হয়ে ১৯ টেস্ট, ৬৫ ওয়ানডে ও ৩১ টি-টোয়েন্টি খেলা নাসির বিপিএলের সবশেষ আসরে অন্যতম সেরা পারফর্মার ছিলেন। ঢাকা ডমিনেটর্সের হয়ে ব্যাটে-বলে দ্যুতি ছড়ান। ১২ ম্যাচ খেলে ৪৫.৭৫ গড়ে ৩৬৬ রান করেন, বল হাতে ১৪.৬ গড়ে শিকার করেন ১৬ উইকেট। কিন্তু পরের আসরেই এই ৩১ বছর বয়সীকে দেখা যাবে না।
আগামী রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) অনুষ্ঠিত হবে বিপিএলের আসন্ন আসরের ড্রাফট। সাতটি ক্যাটাগরিতে মোট ২০৩ জন দেশি ক্রিকেটারকে রাখা হয়েছে এবারের প্লেয়ার্স ড্রাফটে। একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে ‘এ’ ক্যাটাগরিতে থাকছেন মুশফিকুর রহিম। এই ক্যাটাগরিতে গতবারের মতোই ৮০ লাখ টাকা থাকছে। ‘বি’ ক্যাটাগরিতে আছেন চার জন ক্রিকেটার। তারা হলেন, আফিফ হোসেন ধ্রুব, এবাদত হোসেন, ইমরুল কায়েস ও রনি তালুকদার। তাদের পারিশ্রমিক ৫০ লাখ টাকা। ‘সি’ থেকে ‘জি’ এর তালিকায় থাকা খেলোয়াড়দের ভিত্তিমূল্য ৩০ লাখ, ২০ লাখ, ১৫ লাখ, ১০ লাখ ও ৫ লাখ টাকা।