ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে চাঁদপুরে বৃষ্টি ও বাতাসের তীব্রতা বেড়েছে। অতিবৃষ্টির কারণে জনজীবন অনেকটা স্থবির হয়ে পড়েছে।
চাঁদপুর লঞ্চঘাট থেকে ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জের মধ্যে সব ধরনের যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।
সোমবার (২৪ অক্টোবর) বেলা ১১টা থেকে ঢাকা-চাঁদপুরের মধ্যে লঞ্চ চলাচল বন্ধের বিষয়টি বাংলা৫২নিউজকে নিশ্চিত করেছেন চাঁদপুর বন্দর ও পরিবহন কর্মকর্তা শাহাদাত হোসাইন।
তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবের কারণে আজ ভোর থেকে চাঁদপুর-নারায়ণগঞ্জের মধ্যে ছোট লঞ্চগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরে ১১টায় বন্ধ করা হয় ঢাকা-চাঁদপুরের মধ্যে চলাচলকারী সব লঞ্চ। এর আগে সকাল ৬টা থেকে সিডিউলে থাকা লঞ্চগুলো চাঁদপুর থেকে ঢাকা উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়।
আবহাওয়া অধিদপ্তর চাঁদপুর জেলা কার্যালয়ের কর্মকর্তা শাহ্ মোহাম্মদ শোয়েব বাংলানিউজকে বলেন, চাঁদপুর জেলার ও জেলার অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহকে ৭ নম্বর নৌবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। আর নদী বন্দর সমূহকে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এদিকে আজ সকাল ১০টায় চাঁদপুর জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং মোকাবেলায় জেলা প্রশাসনের জরুরি ভিত্তিতে প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভার প্রস্তুতি সম্পর্কে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সিনিয়র সহকারী কমিশনার সুচিত্র রঞ্জন দাস বলেন, উপকূলীয় এলাকার লোকজনকে নিরাপদে আনার জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, আশ্রয়ণ কেন্দ্রসহ ৩২৫টি সাইক্লোন সেন্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। জরুরি খাদ্য হিসেবে ২৫ মেট্টিক টন চাল, ৫ লাখ টাকা বরাদ্দ এবং আজকে বিকেলের মধ্যেই শুকনো খাবার এসে পৌঁছাবে।