বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় মোখা ইতিমধ্যে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়েছে। আগামী রোববার দুপুরের দিকে ঘূর্ণিঝড়টি টেকনাফ ও সেন্ট মার্টিন দ্বীপের ওপর দিয়ে মিয়ানমার উপকূলে আঘাত হানতে পারে। এতে বঙ্গোপসাগরের প্রবাল দ্বীপ সেন্ট মার্টিনের মানুষজন চরম আতঙ্কে আছেন। অনেকে নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য কাঠের ট্রলার ও দ্রুতগতির স্পিডবোটে চড়ে ৩৪ কিলোমিটার দূরে টেকনাফ সদরে আশ্রয় নিচ্ছেন।
শনিবার সন্ধ্যায় আতঙ্কিত দ্বীপবাসীকে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে ছুঁটে যেতে দেখা যায়। এর আগে বেড়াতে ও ব্যবসায়িক কাজে আসা মানুষ ট্রলারযোগে টেকনাফ ফিরে গেছেন।
সেন্ট মার্টিনের বাসিন্দা নাসির উদ্দিন বলেন, দ্বীপে ঘূর্ণিঝড় মোখা’র প্রভাব দেখা দিয়েছে। সকালের তুলনায় বিকালের জোয়ারে সাগরের পানি বেড়েছে। গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে, আকাশ মেঘলা হয়ে আছে। তাই আমরা নিরাপদ স্থানে চলে যাচ্ছি। যতক্ষণ পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হবে ততক্ষণ পরিবার নিয়ে আশ্রয় কেন্দ্রে থাকবো।
সেন্ট মার্টিন ইউপি চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান বলেন, দ্বীপে ঘূর্ণিঝড় মোখা’র প্রভাব বাড়ছে। রাতে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে। তাই দ্বীপবাসীকে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যেতে বিভিন্ন প্রচারণা চালিয়েছি। সন্ধ্যায় এলাকাবাসী ধীরে ধীরে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যাওয়া শুরু করেছে। আশ্রয় নেয়া লোকজনের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান বলেন, সেন্ট মার্টিন দ্বীপে মানুষ নিরাপদ আশ্রয়ে জন্য সাইক্লোন শেল্টার ও স্কুল-মাদ্রাসাসহ হোটেলগুলোতে আশ্রয় নিচ্ছে। যেকোনো ধরনের ক্ষয়ক্ষতি এড়িয়ে মানুষকে নিরাপদে রাখতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।