চট্টগ্রামে ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ মোকাবিলায় ২৫টি ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনকে সার্বক্ষণিক প্রস্তুত রাখা হয়েছে। দ্রুত উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স চট্টগ্রাম সদর দপ্তরে ২৫ জনের একটি স্পেশাল টিম গঠন করা হয়েছে।
এছাড়া এসব ফায়ার স্টেশনের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীর ছুটি বাতিল ও ছুটিতে যারা ছিলেন তারা স্টেশনে যোগদান করেছেন। সবাইকে সতর্ক থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এসব তথ্য জানান ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স চট্টগ্রাম সদর দপ্তরের সহকারী পরিচালক এম ডি আবদুল মালেক। তিনি জানান, দুর্যোগপ্রবণ এলাকার জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রতিটি ফায়ার স্টেশনে সার্চ অ্যান্ড রেসকিউ টিম, প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদানকারী দল এবং একটি করে ওয়াটার রেসকিউ টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে। চট্টগ্রামে ফায়ার সার্ভিসের প্রশিক্ষিত হাজারও ভলান্টিয়ার প্রস্তুত রয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানার আগেই জনগণকে নিরাপদ আশ্রয়ে নেওয়া ও সতর্কতামূলক মাইকিং করা হচ্ছে। অগ্নিনির্বাপণ ও উদ্ধার সরঞ্জামসহ অ্যাম্বুলেন্স, জেমিনি বোট, চেইন স, হ্যান্ড স, রোটারি রেসকিউ স, স্প্রেডার, মেগাফোন, র্যামজ্যাক বা এয়ার লিফটিং ব্যাগ, ফাস্ট এইড বক্স ইত্যাদি প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়া ঘূর্ণিঝড়-পরবর্তী অনুসন্ধান ও উদ্ধার কাজসহ রাস্তাঘাট যান চলাচল উপযোগী করার জন্য ফায়ার সার্ভিস প্রস্তুত রয়েছে।
তিন জনের ডুবুরি দল কক্সবাজার পাঠানো হয়েছে জানিয়ে এম ডি আবদুল মালেক বলেন, চট্টগ্রাম সদর দপ্তরে দুইটি ডুবুরি দল ছিল। তাদের একটি কক্সবাজারে পাঠানো হয়েছে। কারণ কক্সবাজারে উপকূলীয় অঞ্চলে তল্লাশি চালানোর জন্য ডুবুরি দলের প্রয়োজন পড়তে পারে। আরেকটি দল চট্টগ্রাম সদর দপ্তরে রাখা হয়েছে। তারা পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতসহ চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্থানে তল্লাশি কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবেন।