আজ বৃহস্পতিবার,১, সেপ্টেম্বর,২০২২ খ্রি. জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে জানিপপ কর্তৃক আয়োজিত জুম ওয়েবিনারে এক বিশেষ সেমিনারের ৩৯৪তম পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।
জানিপপ-এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান প্রফেসর ড.মেজর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, বিএনসিসিও’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন, ইউএন ডিজএ্যাবিলিটি রাইটস চ্যাম্পিয়ন ও ওয়ার্কএবিলিটি এশিয়া’র পরিচালনা পর্ষদের সদস্য, অনারারি প্রফেসর আবদুস সাত্তার দুলাল এবং গেস্ট অব অনার হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন,রংপুর মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আর্জিনা খানম।
সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন, ইন্টারন্যাশনাল রবীন্দ্র রিসার্চ ইনস্টিটিউট এর পরিচালক ও সহযোগী অধ্যাপক ফারহানা আকতার, পিএইচডি গবেষক শামসুন্নাহার লাভলী ও নীলফামারীর জল-ঢাকা থেকে পিএইচডি গবেষক ফাতিমা তুজ জোহরা
এবং মুখ্য আলোচক হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন, বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে পিএইচডি গবেষণারত প্রশান্ত কুমার সরকার।
সভাপতির বক্তৃতায় ড.কলিমউল্লাহ বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সারাটি জীবন অবিচল চিত্তে নিষ্ঠার সঙ্গে মানুষের কল্যাণে নিয়োজিত ছিলেন।
তিনি আরো বলেন,দেশের স্বার্থের কাছে, জনগণের স্বার্থের কাছে তিনি জলাঞ্জলি দিয়েছিলেন নিজের স্বার্থ। বিশ্ব-ইতিহাসে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মতো জাতীয়তাবাদী নেতার দৃষ্টান্ত বিরল।
আব্দুস সাত্তার দুলাল বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্বব্যাপী একজন মুক্তিসংগ্রামী এবং মহান রাজনীতিবিদ হিসেবে অধিক পরিচিত। প্রকৃত অর্থে তিনি রাজনীতির মানুষ- রাজনীতি তাঁর জীবনের ধ্যান-জ্ঞান।তবে কেবল রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক মুক্তিই নয়, বাংলাদেশের ভাষা, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির মুক্তিসংগ্রামেও অন্যতম নেতা হিসাবে বঙ্গবন্ধু গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। জনাব দুলাল আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু তাঁর বক্তৃতায় কখনো কটুক্তি, অপমানসূচক কিংবা অশ্লীল বাক্য ব্যবহার করেননি।
প্রশান্ত কুমার সরকার বলেন,বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের স্থপতি। তিনি বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় আজীবন সংগ্রাম করেছেন। তাঁর রাজনৈতিক জীবন এবং বাংলাদেশের মুক্তিসংগ্রামে ছয় দফা খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। এই ছয় দফার মধ্য দিয়ে তিনি বাঙালি জাতিকে একটি জাতীয়তাবাদী চেতনা দিতে সক্ষম হয়েছিলেন।
আর্জিনা খানম বলেন,সরকারের বিরুদ্ধে চক্রান্ত ও অপপ্রচার করে মানুষকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে। আমাদেরকে এর প্রতিবাদ করতে হবে, জনগণকে সচেতন করতে হবে। চক্রান্ত মোকাবেলা করার জন্য বঙ্গবন্ধুর সৈনিকদের প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে।
গবেষক ফারহানা আকতার, ‘নতুন প্রজন্মের চোখে বাংলাদেশ’ শীর্ষক ধারাবাহিক বক্তৃতার ১২তম পর্বে বঙ্গবন্ধুর বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনে ১৯৪৭ থেকে ১৯৫৩ পর্যন্ত বিস্তৃত সময়কালের উল্লেখযোগ্য ইতিহাস তুলে ধরেন।
সেমিনারটি সঞ্চালনা করেন রয়েল ইউনিভার্সিটি অব ঢাকা’র সহযোগী অধ্যাপক,বিভাগীয় প্রধান ও ডেইলি প্রেসওয়াচ সম্পাদক দিপু সিদ্দিকী। সেমিনারে অন্যান্যদের মধ্যে সংযুক্ত ছিলেন, যশোর থেকে নূর এ আলম জাহিদ, রাজশাহী থেকে ড.মনোয়ার, চাঁদপুরের কচুয়া থেকে ফরহাদ চৌধুরী, জান্নাতুল ফেরদৌস তিথি ও সিরাজগঞ্জ থেকে মিস হ্যাপি ।