বিরূপ আবহাওয়ার কারণে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও বরিশাল বিমানবন্দরের কার্যক্রম বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)। ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া বিরাজ করায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের ম্যানেজার উইং কমান্ডার তাসনিম আহমেদ গণমাধ্যমকে বলেন, সোমবার বিকাল ৩টা থেকেই তারা এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করছেন। মঙ্গলবার বেলা ১২টা পর্যন্ত বিমানবন্দরে কোনো উড়োজাহাজ ওঠানামা করবে না।
সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় কক্সবাজার ও বরিশাল বিমানবন্দরও সোমবার সন্ধ্যা থেকে বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানান সিভিল এভিয়েশনের সদস্য (অপারেশন ও প্ল্যানিং) এয়ার কমডোর সাদিকুর রহমান চৌধুরী।
তিনি বলেন, বিমানবন্দরগুলোতে আপৎকালীন প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। আবহাওয়ার উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হবে।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং এগিয়ে আসায় মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত এবং চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অফিস। উপকূলীয় জেলাগুলোতে চলছে ভারি বর্ষণ, জলোচ্ছ্বাসেরও পূর্বাভাস রয়েছে।
আবহাওয়া অফিস বলছে, সোমবার মধ্যরাত থেকে মঙ্গলবার ভোররাতের মধ্যে খেপুপাড়ার কাছ দিয়ে বরিশাল-চট্টগ্রাম উপকূল অতিক্রম করতে পারে সিত্রাং।
চট্টগ্রাম নগরীর প্রান্তে বঙ্গোপসাগর ও কর্ণফুলী নদীর মোহনার কাছেই শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের অবস্থান।
বিরূপ আবহাওয়ার কারণে সকাল থেকেই চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারে অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট কমিয়েছে দেশীয় এয়ারলাইন্সগুলো। তবে শাহাজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্যক্রম দুপুর পর্যন্ত স্বাভাবিকভাবেই চলছে।