কুষ্টিয়া থেকে ছেড়ে আসা চলন্ত বাসে ডাকাতি ও ধর্ষণের মামলার তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে গোয়েন্দা পুলিশকে।
বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) রাতে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হেলাল উদ্দিনকে তদন্ত কর্মকর্তা করা হয়েছে।
গত বুধবার (৩ আগস্ট) মধুপুর থানায় ডাকাতি ও গণধর্ষণের অভিযোগ এনে বাসের যাত্রী হেকমত আলী বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। তখন মামলার তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয় মধুপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মুরাদ হোসেনকে।
পুলিশ সূত্র জানায়, চাঞ্চল্যকর এই মামলাটি দায়েরের পর থেকেই জেলা গোয়েন্দা পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে আসামিদের চিহ্নিত করে। পরে বৃহস্পতিবার ডাকাত দলের বাসচালক রাজা মিয়াকে গ্রেপ্তার করে।
শুক্রবার (৫ আগস্ট) রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করে টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মো. শরফুদ্দীন বলেন, ‘মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব গোয়েন্দা পুলিশকে দেওয়া হয়েছে।’
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কুষ্টিয়ার দৌলতপুর থেকে ঈগল পরিবহনের একটি বাস নারায়ণগঞ্জের উদ্দেশে ছেড়ে আসে। রাত সাড়ে ১১টার দিকে বাসটি সিরাজগঞ্জের একটি খাবার হোটেলে যাত্রা বিরতি দেয়। সেখান থেকে যাত্রা শুরুর পর তিন দফায় যাত্রীবেশে কয়েকজন ডাকাত বাসে ওঠে।
টাঙ্গাইল অতিক্রম করার পর ডাকাতরা অস্ত্রের মুখে চালককে জিম্মি করে বাসটি তাদের নিয়ন্ত্রণে নেয়। তারা যাত্রীদের হাত, পা, চোখ বেঁধে তাদের সব লুটে নেয়। এ সময় বাসে থাকা এক নারী যাত্রী ধর্ষণ ও নির্যাতনের শিকার হন। পরে ডাকাতরা বাসটি টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ সড়কের দিকে নিয়ে যায়।
রাত সাড়ে ৩টার দিকে বাসটি মধুপুর উপজেলার রক্তিপাড়া নামক স্থানে রাস্তার খাদে পড়ে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন ও ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা যাত্রীদের উদ্ধার করে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এলে যাত্রীরা ডাকাতি ও নির্যাতনের বিষয়টি জানান।