চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার গজরা ইউনিয়নে অলিপুর নয়াকান্দি গ্রামের প্রবাসী আবদুল ছাত্তারের স্ত্রী মাসুমা আক্তার (৩৯) ও তার স্কুল পড়ুয়া ছাত্র গোলাম রাব্বি (১৫) হামলার শিকার হয়েছে।
জানা যায়, গত মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) দুপুরে অলিপুর নয়াকান্দি গ্রামের জায়গা জমি সংক্রান্ত বিষয়ে প্রবাসী আবদুল ছাত্তারের স্ত্রী মাসুমা আক্তার ও তার ছেলে গোলাম রাব্বির উপর হামলা করে একই গ্রামের মৃত জমির আলী মৃধার ছেলে জিসান আহাম্মেদ জনি (৩০), জাকির হোসেন (৩৮) সহ তার আত্মীয় স্বজনরা। এ বিষয়ে আহত মাসুমা আক্তার বাদি হয়ে ৭জন কে আসামি করে মতলব উত্তর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, প্রবাসী আবদুল সাত্তারের সাথে আসামি জিসান আহাম্মেদ জনিদের সাথে জায়গা-জমি ও মামলা সংক্রান্ত বিরোধ চলছিল। উক্ত বিরোধের জের ধরে ঘটনার তারিখ ও সময় ঘটনারস্থলে সকল আসামিরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে দা, ছেনি, লোহার রড, কাঠের রুয়া, বাঁশের লাঠি ইত্যাদি দেশীয় মারাত্মক অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে মাসুমা আক্তার ও তার সন্তান গোলাম রাব্বিকে হত্যার উদ্দেশ্যে এলোপাতাড়ি আক্রমণ করে। সকল আসামিরা তাদের হাতে থাকা লাঠি, লোহার রড, দা, ছেনা, কাঠের রুয়া দিয়ে প্রবাসী আবদুল সাত্তারের বসত বিল্ডিংয়ের কেচি গেট এর তালা ভেঙে প্রবেশ করে তার স্ত্রী মাসুমা আক্তার ও সন্তান গোলাম রাব্বিকে মেরে মারাত্মক জখম করে। পরে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় মতলব উত্তর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। রোগীর অবস্থা আশঙ্কাজনক থাকায় প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য চাঁদপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
এবং আসাীমরা তাদের বসত ঘরে থাকা সুকেস, আলমারি, ফ্রিজ, টিভি ও বিভিন্ন আসবাবপত্র ভাংচুর করে, ১ভরি স্বর্নের চেইন, নগদ ১লক্ষ টাকা এবং একটি স্যামসাং ফোন নিয়ে যায়।
মাসুমা আক্তার বলেন, জিসান আহাম্মেদ জনি ও তার ভাই জাকির হোসেন এবং তার আত্মীয় স্বজনরা মিলে আমার বাড়ির কেচি গেট এর তালা ভেঙ্গে আমার ও আমার সন্তানের উপরে অমানবিক হামলা চালায়, আমার মাথায় ও চোখে মারাত্মক জখম হয়। আমার ঘরে থাকা আসবাবপত্র, আলমারি, ফ্রিজ, টিভি ভেঙ্গে ফেলে। আমার গলায় থাকা ১ ভরি ওজনের স্বর্নের চেইন, আমার ব্যাগে থাকা ১ লক্ষ টাকা এবং আমার একটি মোবাইল ফোন নিয়ে যায়। এই ঘটনা আমি মতলব উত্তর থানায় একটি মামলা করি। আমি প্রশাসনের কাছে সঠিক বিচারের কামনা করছি।
মতলব উত্তর থানার ওসি তদন্ত মো. মাসুদ জানান, উক্ত ঘটনায় মতলব উত্তর থানায় মামলা হয়েছে, আমরা তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করছি।